চীনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাইওয়ানের সঙ্গে কয়েক দশকের গড়ে ওঠা কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে মধ্য আমেরিকান দেশ হন্ডুরাস। শনিবার (২৫ মার্চ) হন্ডুরাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক টুইটবার্তায় জানিয়েছে, হন্ডুরাস সরকার বিশ্বে মাত্র এক চীনের অস্তিত্বকে স্বীকৃতি দিচ্ছে।
রোববার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকার একমাত্র বৈধ সরকার। যারা সবার প্রতিনিধিত্বকারী। তাইওয়ান হলো চীনা ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয়টি তাইওয়ানকে জানানো হয়েছে।
ফলে এখন তাইওয়ানকে স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশের সংখ্যা মাত্র ১৩-এ নেমে এলো।
১৯৪৯ সালে গৃহযুদ্ধের ফলে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর থেকে চীন ও তাইওয়ান স্বীকৃতি অর্জনের জন্য অব্যাহত যুদ্ধে নিয়োজিত রয়েছে। ‘এক চীন’ নীতির প্রতি সমর্থন আদায়ের জন্য বেইজিং বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে। চীন মনে করে তাইওয়ান তার একটি প্রদেশ। এর রাষ্ট্রীয় কোনো অস্তিত্ব নেই। তারা অন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। যদিও তাইওয়ান এটা মানে না।
তবে চীনের ব্যাপক প্রচারণা সত্ত্বেও শতাধিক দেশের সঙ্গে তাইওয়ানের অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিকভাবে তাইওয়ানকে স্বীকৃতি না দিলেও তার ইন্দো-প্যাসিফিক নীতির অন্যতম অংশীদার তাইওয়ান।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০১৬ সালের মে মাসে সাই ইং-ওয়েন দায়িত্ব গ্রহণের পর হন্ডুরাস নবম দেশ হিসেবে তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল। ল্যাটিন আমেরিকার বেলিজ, প্যারাগুয়ে ও গুয়েতেমালা ও ভ্যাটিকান সিটির সাথে এখনো সম্পর্ক রয়েছে তাইওয়ানের। এছাড়া আফ্রিকার ইসওয়াতিনি (সাবেক সোয়াজিল্যান্ড) এবং কয়েকটি দেশের সঙ্গে তাইওয়ানের সম্পর্ক রয়েছে।