রুশ দখলদারত্ব থেকে পূর্বাঞ্চলীয় গ্রাম ক্লিশচিভকা পুনরুদ্ধার করেছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। এটি রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মাসব্যাপী চলমান পাল্টা আক্রমণের তিন দিনের মধ্যে ইউক্রেনের দ্বিতীয় উল্লেখযোগ্য সাফল্য বলে বলা হচ্ছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্লিশচিভকা গ্রামটি বাখমুত থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। কয়েক সপ্তাহ ধরে সেখানে তীব্র লড়াইয়ের চলছিল।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনিস্কি বলেন, “আজ, আমি বিশেষভাবে সেই সৈন্যদের প্রশংসা করতে চাই যারা ধাপে ধাপে ইউক্রেনের ভূমি পুনরুদ্ধার করছেন, যেমন বাখমুত এলাকায়।”
আন্দ্রিইভকা নামক ছোট এক গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণার পর ক্লিশচিভকার এই অগ্রগতির কথা জানাল কিয়েভ। এদিকে একই সময় দেশটির প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রে তার দ্বিতীয় যুদ্ধকালীন সফরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, কিয়েভ ‘ইউক্রেনের জন্য নতুন প্রতিরক্ষাব্যবস্থা প্রস্তুত করছে’ এবং ‘বিমান প্রতিরক্ষা ও আর্টিলারি অগ্রাধিকার দিয়ে’। যদিও এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাননি তিনি।
ইউক্রেন জুনে তার ভূখণ্ড থেকে রাশিয়ান সৈন্যদের সরাতে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে।
ইউক্রেনের স্থলবাহিনীর কমান্ডার ও দেশটির পাল্টা আক্রমণের নিয়ন্ত্রণে থাকা ওলেক্সান্ডার সিরস্কি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। যাতে দেখা যায়, পটভূমিতে যুদ্ধের শব্দসহ ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের ওপর দাঁড়িয়ে ইউক্রেনীয় সেনারা নীল ও হলুদ জাতীয় পতাকা প্রদর্শন করছেন।
সিরস্কি সাামজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, “ক্লিশচিভকা থেকে রাশিয়ানদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো তার আক্রমণ শুরু করার আগে ক্লিশচিভকাতে প্রায় ৪০০ মানুষের বাস ছিল। চলতি বছরের জানুয়ারিতে রুশ সেনারা গ্রামটি দখল করেছিল।
তবে ইউক্রেনের দাবির পক্ষে মস্কো কোনো মন্তব্য করেনি। এর আগে আন্দ্রিভকা থেকে রুশ সেনাদের সরিয়ে দেওয়ার খবর অস্বীকার করেছিল দেশটি।