ইরাকে অ্যালকোহল আমদানি ও বিক্রি নিষিদ্ধ আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে মামলা করেছেন খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী রাজনীতিবিদরা। সোমবার (৬ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও ইরাকে অ্যালকোহল আমদানি ও বিক্রি নিষিদ্ধ করে আইন পাস করা হয়। শনিবার (৪ মার্চ) শুল্ক কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরেই ইরাকে আইনটি বাতিলের দাবি জানিয়ে মামলা করেছেন ওই রাজনীতিবিদরা।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের দেশ ইরাকে অ্যালকোহল পান করাকে বাঁকা চোখে দেখা হয়। যদিও দেশটিতে লাইসেন্সধারী মদের দোকান কিংবা বারে গিয়ে মদ কেনা যায়।
আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে মামলা করা খ্রিষ্টান রাজনৈতিক দলটির পার্লামেন্টে পাঁচটি আসন রয়েছে। তারা এ আইনটিকে অগণতান্ত্রিক বলে অভিহিত করেছেন।
২০১৬ সালে এ আইনটির খসড়া বিল তৈরি করা হয়েছিল। বিলটি মূলত বিচারক এবং ইরাকের স্টেট অব ল কোয়ালিশনের আইনপ্রণেতা মাহমুদ আল-হাসান দ্বারা প্রস্তাবিত হয়েছিল। এতে অ্যালকোহল আমদানি কিংবা বিক্রির বিষয়ে ২৫ মিলিয়ন পর্যন্ত ইরাকি দিনার জরিমানা আরোপের কথা বলা হয়েছে। অবশেষে অ্যালকোহল বিক্রি, আমদানি বা উৎপাদন নিষিদ্ধ করে সাত বছর পরে গত মাসে সরকারি গেজেট জারি করা হয়।
বিলটির সপক্ষে মাহমুদ আল-হাসান সে সময় বলেছিলেন, এটি ইরাকের ২০০৫ সালের সংবিধানের ২ নম্বর অনুচ্ছেদের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। ইসলামের বিরুদ্ধে যায়, এমন কোনো বস্তু বা বিষয় এ আইন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
আইনটি কতটা কঠোরভাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে কিংবা এটি বহাল থাকবে কি না এ বিষয়ে দেশটির ফেডারেল সুপ্রিম কোর্ট এখনো স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি।
দেশটির ব্যাবিলন আন্দোলনের সদস্যরা বলেছেন, আইনটি অসাংবিধানিক কারণ এটি সংখ্যালঘুদের অধিকারকে খর্ব করে এবং স্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করে।
ইরাকের রাজধানী বাগদাদের বাসিন্দা সারমাদ আব্বাস জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরাকের কালোবাজারে অ্যালকোহল বিক্রি শুরু হবে। মুসলিম শিক্ষায় মদ পান নিষিদ্ধ কিন্তু এগুলো ব্যক্তিগত স্বাধীনতা। নাগরিকদের এগুলো পানে নিষেধ করতে পারেন না।