ইউরোপীয় ইউনিয়নে ইউক্রেনের সদস্যপদ নিয়ে দেশটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলতে ইচ্ছুক জোটটির নির্বাহী সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) হিন্দুস্তান টাইমস তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
বুধবার (৮ নভেম্বর) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্যদের কিয়েভের সঙ্গে দেশটির সদস্যপদ নিয়ে আলাপের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ সিদ্ধান্ত একটি ইতিহাসিক পদক্ষেপ। তিনি সামাজিক মাধ্যম টেলিগ্রাম মেসেঞ্জারে বলেন,“ইউরোপীয় মূল্যবোধ রক্ষা এবং এই পূর্ণ যুদ্ধের সময়েও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের মাধ্যমে কথা রাখা, এই দুটি কারণে ইউক্রেন সদস্যপদ পাওয়ার যোগ্য।”
ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের নির্বাহী সদস্যদের ইউক্রেন ও মলদোভার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কথা বলার পরামর্শ দিয়েছে। সেই সঙ্গে জর্জিয়ার সদস্যপদের প্রার্থীতাকে গ্রহণ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই ঘোষণা কিয়েভের প্রতি বড় ধরনের এক সমর্থন প্রকাশ। তবে ডিসেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ জন নেতাকে এ সিদ্ধান্তের জন্য সাক্ষর প্রদান করতে হবে।
ইউরোপীয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লিয়েন বলেন, “আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। আজ ইউরোপীয়ান কমিশন ইউক্রেন ও মলদোভার সঙ্গে সদস্যপদ নিয়ে মধ্যস্থতার কথা বলেছে।”
ইউরোপীয় ইউনয়নের প্রধান বলেন, “আনুষ্ঠানিকভাবে তারিখ নির্ধারণের পূর্বে ইউক্রেন ও মলদোভাকে তাদের আরও সংস্কার করতে হবে।” তিনি বলেন, “তার নির্বাহী তাদের অগ্রগতির ওপর নির্ভর করে তারিখ নির্ধারণ করবেন।”
ভন ডের লিয়েন বলেন,“ রাশিয়ার সঙ্গে ভয়ানক যুদ্ধের পর ইউক্রেনকে নিজেদের সংস্কারের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করতে হবে। ইউক্রেন এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন করেছে।
মলদোভা অভিযোগ করেছিলো মস্কো তাদের অক্ষম করে দিতে চাইছে। তারাও ইউক্রেনের সঙ্গে একই সময়ে সদস্যপদের দাবি জানিয়েছিলো এবং তাদেরও পুনরায় সংস্কারের জন্য বলা হয়েছিলো।
তবে কমিশন জানায়, তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী নির্বাচন করতে হবে। যার মাধ্যমে তাদের মধ্যে কতটুকু সংস্কার হয়েছে তা বোঝা যায়। বসনিয়া ডিসেম্বরের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হওয়া সত্ত্বে তারা মধ্যস্থতা শুরু করার জন্য সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়েছে।
তবে ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হতে হলে তাদের সম্পূর্ণভাবে সংস্কার করতে হবে। আর তা হতে হবে দীর্ঘমেয়াদী। সূত্র-হিন্দুস্তান টাইমস।