• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইরান আন্দোলনে ১৯ শিশুসহ নিহত বেড়ে ১৮৫


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২২, ১০:৫১ এএম
ইরান আন্দোলনে ১৯ শিশুসহ নিহত বেড়ে ১৮৫

হিজাব ইস্যুতে নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মাশা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ক্রমেই সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নিচ্ছে। রাস্তায় নেমে, আগুন জ্বেলে, হিজাব পুড়িয়ে, চুল কেটে নানাভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন ইরানের নারীরা। বিবিসি জানায়, এখন পর্যন্ত ইরানের বিভিন্ন জায়গায় মৃত্যু হয়েছে ১৯ শিশুসহ ১৮৫ জনের।

এর আগে ১৩৩ জনের মৃত্যু সম্পর্কে জানা গিয়েছিল। আন্দোলকারীরা এই বিক্ষোভকে জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে যেতে আহ্বান জানাচ্ছেন।

আন্দোলনকারীদের ওপর ক্রমেই কঠোর হচ্ছে ইরান সরকার। তবে সরকার যতই কঠোর হচ্ছে আন্দোলনও তত তীব্র হচ্ছে। আন্দোলনে যুক্ত হচ্ছেন বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। ইরানে এবার মাশা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে ইরানের স্কুলশিক্ষার্থীরাও। স্কুলগামী মেয়েরা তাদের হিজাব খুলে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে।

নরওয়েভিত্তিক ইরান মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, পুরো ইরানজুড়ে এখন পর্যন্ত আন্দোলনে মারা গেছে ১৮৫ জন।

ইরান বলছে এই আন্দোলনে মদদ জোগাচ্ছে ইরানের বহিঃশত্রুরা। তাই আন্দোলনকারীদের ওপর আরও কঠোর হবে ইরান সরকার।

ইতোমধ্যে এমন পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করছেন বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ। ইরানের নারীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে হাজারো মানুষ নিজ নিজ অঞ্চলে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন।

রোম, জুরিখ, প্যারিস, লন্ডন, সিওল, ওকল্যান্ড এবং আমেরিকায় বসবাসরত ইরান প্রবাসীরা আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন। সেখানে অংশ নিচ্ছেন স্থানীয়রাও। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ইরান প্রবাসীরা হোয়াইট হাউসের সামনে অবস্থান নেন এবং ব্যানার, ফেস্টুন, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন এবং স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদে অংশ নেন।

মাশা আমিনি নামের ওই তরুণী গত মাসের শুরুতে ইরানের কুর্দিস্তান প্রদেশ থেকে রাজধানী তেহরানে তার আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। এসময় ‍‍‘সঠিকভাবে’ হিজাব না পরায় তাকে আটক করে ইরানের নৈতিকতা পুলিশ। যুক্তি হিসেবে তখন পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, “চুল পুরোপুরি না ঢাকার জন্য মাহসা আমিনিকে আটক করা হয়েছে।” এরপর আটকের তিনদিন পর পুলিশের হেফাজতে হাসপাতালে মৃত্যু হয় মাশার। পুলিশ জানায় হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে তার। তবে মাশার হার্টের কোনো সমস্য ছিল না বলে জানায় তার পরিবার। আন্দোলনকারীদের দাবি নৈতিকতা পুলিশের অত্যাচারেই মারা গেছেন মাশা। ইরানের নারীরা হিজাব ঠিকমতো পরছেন কি না এমন বিষয়গুলোতে নজরদারির জন্য নৈতিকতা পুলিশ নামে বিশেষ বাহিনী গঠন করে ইরান। পাশাপাশি রাস্তায় রাস্তায় সিসিটিভি ক্যামেরাও লাগানো হয়। এই ঘটনার পর নৈতিকতা পুলিশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

Link copied!