• ঢাকা
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ধেয়ে আসছে ‘দানা’, রের্ড অ্যালার্ট জারি, বন্ধ বিমানবন্দর


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৪, ০৬:০২ পিএম
ধেয়ে আসছে ‘দানা’, রের্ড অ্যালার্ট জারি, বন্ধ বিমানবন্দর
কলকাতায় ‘দানা’র প্রভাব শুরু। ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ধেয়ে আসছে ভারতের ওড়িশা উপকূলের দিকে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যেই আছড়ে পড়বে স্থলভাগে। এসময় বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এমনটাই জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অফিস।

সমুদ্রে ইতোমধ্যেই ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার ছাড়িয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে ওড়িশা রাজ্যের ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে।

রেড অ্যালার্ট
দানার প্রভাবে বিশেষত পূর্ব মেদিনীপুরে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বা তার থেকে বেশি জোরে ঝড় বইতে পারে। যে কারণে পূর্ব মেদিনীপুরে ঝড় ও বৃষ্টি নিয়ে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হবে। সেখানেও বৃষ্টি ও বন্যা নিয়ে রেড অ্যলার্ট জারি করেছে প্রশাসন।

সব স্কুল বন্ধ
কলকাতাতেও ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে বলে ধারণা করছেন আবহাওয়াবিদরা। যে কারণে কলকাতাসহ ৯ জেলায় ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এক লাখ ১৪ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া বন্ধ আছে। দীঘা, মন্দারমণি, তাজপুরের মতো জায়গা থেকে পর্যটকদের চলে যেতে বলা হয়েছে।

বিমানবন্দর বন্ধ, ট্রেন বাতিল
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব ইতোমধ্যে পড়তে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গে। আকাশ কালো মেঘে ঢেকে গিয়ে অঝোরধারায় বৃষ্টি নামছে। কলকাতা বিমানবন্দর ১৫ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত কোনো বিমান কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ছাড়বে না বা নামবে না।

এদিকে, কলকাতা মেট্রো পরিষেবায় ঝড়ের প্রভাব পড়বে না বলে জানানো হয়েছে। ফলে মেট্রো তার সময় অনুযায়ী চলবে। তবে ‘দানা’র পরিপ্রেক্ষিতে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ১৯০টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ১৪ ঘণ্টার জন্য এই শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে।

আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হবে ১০ লাখ মানুষ
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি জানিয়েছেন, রাজ্যের ১৪টি জেলায় দানার প্রভাব পড়বে। সরকার ১০ লাখ ৬০ হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত তিন লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ওড়িশায় ১৪টি জেলায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৫ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। উদ্ধারকারী দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পুরীসহ বিভিন্ন পর্যটন স্থানগুলো পর্যটকশূন্য করে দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কথা মাথায় রেখে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বয়স্কদের মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কটক হাইকোর্ট, ভিতরকণিকা ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুযারি, নন্দনকানন জু, সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভ, গ্রন্থাগার, আর্কাইভ, যাদুঘরও বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বন্ধ থাকবে।

Link copied!