দুর্নীতির অভিযোগে ক্রোয়েশিয়ার অর্থমন্ত্রী ও তার উপদেষ্টাকে বরখাস্ত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা আনাদোলু এই তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ক্রোয়েশিয়ার অর্থনীতি মন্ত্রী ডাভর ফিলিপোভিচ এবং তার উপদেষ্টা জুরিকা লোভরিনসেভিচকে বরখাস্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ প্লেনকোভিচ।
এর আগে ন্যাসিওনাল ম্যাগাজিন জানায়, রাজধানী জাগরেবের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সাথে লোভরিনসেভিচের নিয়মবহির্ভূত চুক্তি রয়েছে। এরপরই তাদের সরিয়ে দেওয়ার পদক্ষেপ নেন আন্দ্রেজ প্লেনকোভিচ।
রাজধানী জাগরেবে এক সংবাদ সম্মেলনে প্লেনকোভিচ বলেন, “মিডিয়াতে পাওয়া বর্ণনার জেরেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাবেক মন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং একজন সাংবাদিকের মধ্যে চিঠিপত্র সরকারে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।” তিনি ফিলিপোভিচের ওপর আস্থা হারিয়েছেন বলেও জানান। প্লেনকোভিচের মতে, “যে মন্ত্রী এ ধরনের ঘটনা ঘটতে দেন তার ওপর আমার আর আস্থা নেই। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অর্থমন্ত্রী পদে নতুন কাউকে নিয়োগের জন্য আলোচনা শুরু করব।”
প্রসঙ্গত ন্যাশনাল ম্যাগাজিন সম্প্রতি একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, অর্থমন্ত্রী ডাভর ফিলিপোভিচের উপদেষ্টা জুরিকা লোভরিনসেভিচ ম্রেজা টিভিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি এবং সংস্থার বিলবোর্ড ভাড়া দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। সেইসঙ্গে খরচের অর্ধেক তার অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়ার অনুরোধ করেন। ম্যাগাজিনটি লোভরিনসেভিচ এবং একজন সাংবাদিকের মধ্যে আদান প্রদান হওয়া চিঠিপত্রও ছাপিয়েছিল।