ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন কংগ্রেস নেতা রেবন্ত রেড্ডি। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানী হায়দ্রাবাদের লালবাহাদুর শাস্ত্রী স্টেডিয়ামে লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতে শপথ গ্রহণ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।
দক্ষিণের এ রাজ্যে কংগ্রেস নেতার শপথ গ্রহণের সময় দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী উপস্থিত ছিলেন। রেবন্ত ছাড়াও আরো ১১ জনকে রাজ্যপাল তামিলিসাই সৌন্দররাজন শপথবাক্য পাঠ করান।
অন্ধ্র প্রদেশ ভেঙে তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠিত হওয়ার পর এই রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কে চন্দ্রশেখর রাও। তিনি টানা দশ বছর এই দায়িত্ব পালন করেন। তাকে সরিয়ে রেবন্ত রেড্ডি রাজ্যের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা ২৮ মিনিটে শপথ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও, সেই ‘বিশেষ মুহূর্ত’ পরিবর্তন করে বেলা ১টা চার মিনিট করা হয়। তবে জনতার ঢল পেরিয়ে মঞ্চে এসে রেবন্ত শপথবাক্য পাঠ করেন দুপুর ১ টা ২২ মিনিটে। সেসময় মঞ্চে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারাও ছিলেন। কংগ্রেস সভাপতি ও গান্ধী পরিবার ছাড়া কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারও উপস্থিত ছিলেন।
শপথ গ্রহণের আগে ছাদ খোলা গাড়িতে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে নিয়ে স্টেডিয়াম ঘোরেন রেবন্ত।সেসময় ভোটের প্রচারে তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনে সোনিয়ার অবদানের কথা তিনি বারবার বলেছেন। সোনিয়া গান্ধীকে জয়ের মূল কৃতিত্বও তিনি দিয়েছেন।
রেবন্ত হায়দ্রাবাদের ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তার রাজনীতির হাতেখড়ি বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের কর্মী হিসেবে। পরে অবিভক্ত অন্ধ্র প্রদেশে তেলুগু দেশম পার্টিতে (টিডিপি) যোগ দেন। কিছুদিন তিনি টিআরএসের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। পরে তিনি আবার টিডিপিতে চলে যান। রেবন্ত ২০১৮ সালে টিডিপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। দলের রাজ্য সভাপতি হন ২০২১ সালে।