গাজায় হামলা বন্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে মূলত হামাস। বাস্তবায়নে পেছন থেকে কাজ করছেন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা। তবে চুক্তির জন্য সবচেয়ে বেশি দৌড়ঝাঁপ করছেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা–সিআইয়ের প্রধান বিল বার্নস।
সিআইএ প্রধান সোমবার (৬ মে) দিনই কাতারের দোহা থেকে জেরুজালেমে পৌঁছেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টেলিফোনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছেন।
তবে যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস যে প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে তাতে ইসরায়েলের দাবিগুলো পূরণ হয়নি। তবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য কায়রোয় মধ্যস্থতাকারীদের একটি দল পাঠানো হবে।
এদিকে, প্রস্তাবিত চুক্তিতে কী কী শর্ত আছে, যা হামাস মেনে নিয়েছে সে বিষয়ে কোনো কিছুই এখন অবধি প্রকাশ করা হয়নি। তবে এক প্রতিবেদনে ইসরায়েলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল শর্তগুলো তুলে ধরেছে। তিন ধাপের সেই শর্তগুলো হচ্ছে-
ক. প্রথম ধাপ
১. হামাস ৪০ দিনের মধ্যে ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে। এতে মুক্তি পাবেন নারী, শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ ব্যক্তিরা।
২. বিনিময়ে কয়েক শ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।
খ. দ্বিতীয় ধাপ
১. পরবর্তী ৪২ দিনের মধ্যে বাকি সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে আরও কয়েক শ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।
২. পাশাপাশি গাজা থেকে সব ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে।
গ. তৃতীয় ধাপ
১. বিগত ৪২ দিনের মধ্যে ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত বা জিম্মি অবস্থায় যাঁরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের সবার মরদেহ ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
> বিনিময়ে ইসরায়েলে বন্দী অবস্থায় মারা যাওয়া ফিলিস্তিনিদের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
চুক্তিতে যেসব কাজ করা হবে
ক. প্রথম ধাপেই গাজা পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু হবে। তাতে গাজার সড়ক, বিদ্যু, পানি, পয়ঃনিষ্কাশন এবং যোগাযোগ অবকাঠামো পুনর্গঠনের কাজ করা হবে।
খ. দ্বিতীয় ধাপে গাজার ঘর–বাড়ি ও বেসামরিক স্থাপনা পুনর্গঠনের পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হবে।
গ. তৃতীয় ধাপে অবকাঠামো পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে।