২৫শে ডিসেম্বর যিশু খিস্ট্রের জন্মদিন। এ দিন সারা বিশ্বে অবস্থিত খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে চলে উৎসবমুখর পরিবেশ। ক্রিসমাস ট্রি, আলো, কেক, ছোটদের জন্য সান্তাক্লজের উপহার সব মিলিয়ে খুব জাঁকজমকভাবে উদযাপিত হয় এ দিনটি।
যিশুখিস্ট্রের জন্মদিন উপলক্ষ্যে তার জন্মভূমি ফিলিস্তিনের বেথলেহামে এ বছর কোনো আয়োজন না থাকলেও বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে রয়েছে ব্যাপক আয়োজন।
সুইডেনে বড়দিন উপলক্ষ্যে বিশাল আকৃতিতে একটি খড়ের ছাগল বানানো হয়। যার আকার হয় ৪২ ফুটের বেশি উঁচু, ২৩ ফুট চওড়া আর সাড়ে তিন টনের বেশি ওজনের। খড়ের এ ছাগলটিকে ঘিরে নববর্ষ পর্যন্ত উৎসবমুখর থাকেন সুইডিশরা। ১৯৬৬ সাল থেকে এটি সুইডেনের ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।
বড়দিনে রঙিন বাতি দিয়ে সাজানো হলেও ফিলিপাইনের সান ফার্নান্দো শহরে হয় লন্ঠন উৎসব। যিশুর জন্মের সময় বেথলেহামের আকাশে দেখা যায় জ্বলজ্বলে তারা। এর প্রতীক হিসেবে একেকটি লন্ঠনকে ধরা হয়। রাতের আকাশকে আলেকিত করে একসঙ্গে হাজারো লন্ঠন জ্বলতে থাকে শহরটিতে।
এদিকে আয়ারল্যান্ডের মানুষেরা বড়দিনের সময় রাতভর জানালায় বড় আকারের একটি লাল মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখেন। এটিকে তারা ছুটির মৌসুমে উষ্ণতা ও আশ্রয়ের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। আর অস্ট্রিয়াসহ আলপাইন অঞ্চলের মানুষের বিশ্বাস, ক্র্যাম্পাস নামে শয়তান-সদৃশ এক প্রাণী তাদের উৎসবে যোগ দেবে। এর আগে শিশুদের ভালো-খারাপ কাজের তালিকা করতে বলা হয়। বিশ্বাস করা হয়, ভালো কাজের জন্য শিশুদের মিষ্টি, আপেল ও বাদাম দিয়ে পুরস্কৃত করা হবে। আর খারাপ কাজ করলে শিশুদের জন্য শাস্তির পাহাড় নিয়ে হাজির হবে ক্র্যাম্পাস।
বড়দিনে সবচেয়ে বড় ঐতিহ্য হলো কেক বা পিঠার মতো খাবার। তবে বড়দিনের সকালে ফিনল্যান্ডের মানুষরা তাদের ঐতিহ্যবাহী ‘পোরিজ’ আর পুডিং খান।
আইসল্যান্ডে বড়দিনের উৎসব শুরু হয় ১৩ দিন আগে। প্রতি রাতে শিশুরা জানালায় জুতা ঝুলিয়ে রেখে ঘুমাতে যায়। তাদের বিশ্বাস, সকালে উঠে ওই জুতার ভেতরে ভালো শিশুরা চকলেট আর দুষ্টু শিশুরা পচা আলু উপহার পাবে।
বড়দিনের আগের সন্ধ্যায় ডেনমার্কের প্রতিটি পরিবার ঘরের মাঝখানে ক্রিসমাস ট্রি রেখে সেটিকে ঘিরে তারা নাচ-গান করে থাকে।
ব্রাজিল ও পর্তুগালে পরিবারের সদস্যরা বড়দিনের আগের রাতে ১০টার মধ্যে একসঙ্গে খাবার খেতে জড়ো হন। এরপর মধ্যরাতে পরিবারের সদস্যরা একে অপরকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানান, উপহার দেন।
সূত্র: ইউএস নিউজ ও কান্ট্রিলিভিং.কম