চীনের কড়া হুশিয়ারি উপেক্ষা করে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সাথে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বৈঠক করেছেন। এরপর থেকেই তাইওয়ান প্রণালীজুড়ে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
এর মধ্যে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের কাছে একটি সাবমেরিন–বিধ্বংসী চীনা হেলিকপ্টার এবং তিনটি যুদ্ধ জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) এমন দাবি করেছে দেশটি। এছাড়া তাইওয়ানের কাছে দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী ‘শানডং’ পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে মহড়ায় নিযুক্ত করেছে চীন।
ফ্রান্সের বার্তাসংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। তাইওয়ানের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আজ সকাল ছয়টার সময় তাইওয়ানের কাছে একটি পিএলএ উড়োজাহাজ এবং তিনটি পিএলএএন জাহাজ শনাক্ত হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী এ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং এসব তৎপরতার বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সিএপি বিমান, নৌবাহিনীর জাহাজ এবং স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা প্রস্তুত রেখেছে।
তাইওয়ানের মাত্র ১৩টি কূটনৈতিক মিত্রদেশ আছে। এর মধ্যে গুয়াতেমালা, বেলিজও আছে। সম্প্রতি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন এ দেশ দুটিতে সফর করেন। ফেরার সময় ক্যালিফোর্নিয়ায় যাত্রাবিরতি নেন। বুধবার লস অ্যাঞ্জেলসে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
চীন আগেই ঘোষণা দিয়েছিল, তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট যদি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নেতার সাথে সাক্ষাত করে তবে কঠোর পরিণাম ভোগ করতে হবে।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট বৈঠকের পর দেশে রওনা হয়েছেন। তিনি বৈঠককে ক্যালিফোর্নিয়ার সূর্যোদয়ের মতো উষ্ণ হিসেবে অভিহিত করেছেন। আর ম্যাকার্থি সাইকে ‘আমেরিকার মহান বন্ধু’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।