তাইওয়ানের চারপাশে চীনের সামরিক বাহিনীর ৩৮টি যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি একটি টিবি-০০১ ড্রোন প্রদক্ষিণ করেছে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শুক্রবার এ খবর জানিয়েছে।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের ৩৮টি যুদ্ধবিমান প্রদক্ষিণ করেছে। এর মধ্যে ১৯টি বিমান চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে তাইওয়ান দ্বীপকে আলাদা করার মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে। এপ্রিলের শুরু থেকেই দ্বীপটির কাছে বড় ধরনের সামরিক মহড়ার পর বৃহৎ এই ফ্লাইট প্রদর্শন করল চীন।
এর আগে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ভীতি প্রদর্শনের অংশ হিসেবে চীনের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজও ওই এলাকায় দেখা গিয়েছিল।
যুদ্ধবিমানের উপস্থিতিকে একটি ‘উসকানি’ বলে অভিহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত এপ্রিলে ক্যালিফোর্নিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের হাউস স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের বৈঠকের পর চীন একটি বড় আকারে সামরিক মহড়া করেছে।
চীন দাবি করছে যে তাইওয়ান হলো তার নিজস্ব ভূখণ্ড। তারা বারবার তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তাদের সাক্ষাতের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আসছে। তারা মনে করে, এ ধরনের সাক্ষাৎ তাইওয়ানকে আলাদা দেশ হিসেবে বিবেচনা করতে উৎসাহিত করবে।
২০২২ সালের আগস্ট মাসে প্রতিনিধি পরিষদের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরে যান। এ বিষয়টি নিয়ে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয় বেইজিং। পেলোসি চলে যাওয়ার পরপরই চীন তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া চালায়।
১৯৪৯ সালে গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর তাইওয়ান ও চীন বিভক্ত হয়ে যায় এবং মূল ভূখণ্ডের দায়িত্ব পায় কমিউনিস্ট পার্টি। তাইওয়ান কখনোই গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের অংশ ছিল না কিন্তু চীন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে স্বশাসিত দ্বীপটিকে দেশটির অংশ করবে।