ক্রমবর্ধমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে আবারও প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়িয়েছে চীন। দেশটি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রতিরক্ষা খাতের বাজেট ৭ দশমিক ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ২ শতাংশ করেছে। এ ছাড়া ৫ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
রোববার (৫ মার্চ) চীনের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, আসন্ন অর্থবছরে প্রতিরক্ষা খাতে ২২৫ বিলিয়ন বা ২২ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি, যা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় চার গুণ বেশি। প্রতিবছর জিডিপির ১৪ শতাংশ অর্থ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করে চীন। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয় ৩৮ শতাংশ। এ নিয়ে টানা অষ্টমবারের মতো প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বাড়াল চীন।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রকাশিত বাজেটের চেয়ে সামরিক খাতে আরও বেশি অর্থ ব্যয় করে চীন।
চীনের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং বলেছেন, “চীনকে দমন এবং দখল করার বহিরাগত প্রচেষ্টা চলছে। সশস্ত্র বাহিনীর উচিত সামরিক প্রশিক্ষণ এবং প্রস্তুতি জোরদার করা।”
তিনি জানান, চীন অর্থনৈতিক অগ্রগতি পুনরুদ্ধারে কাজ করছে। শহর এলাকায় নতুন এক কোটি ২০ লাখ চাকরি যোগ হয়েছে। শহরে বেকারত্বের হার হ্রাস পেয়ে ৫ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
রোববার চীনের আইনসভা এনপিসিতে বার্ষিক অধিবেশন শুরু হয়। বেইজিংয়ের গ্রেট হলের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৩ হাজার প্রতিনিধি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লি কেকিয়াং চলতি বছরের জন্য অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।
এ সময় বাজেট ঘোষণার পাশাপাশি শান্তিপূর্ণভাবে তাইওয়ানকে পুনরায় চীনের অধীনে নিয়ে আসার বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
২০২২ সালে চীনের প্রবৃদ্ধি ছিল ৩ শতাংশ। সরকারি লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ৫ শতাংশ থাকলেও দীর্ঘায়িত করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধে তা প্রভাবিত হয়, যা ছিল ১৯৭৬ সালের পর থেকে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন বার্ষিক প্রবৃদ্ধি।