ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি গত ১৯ মে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে প্রেসিডেন্ট রাইসিসহ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতিসহ সব আরোহী নিহত হন।
মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারালেন পূর্ব আফ্রিকার দেশ মালাউইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাওলোস চিলিমাসহ সঙ্গে থাকা আরও ৯ জন।
দেশটির সরকার মঙ্গলবার (১১ জুন) এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এর আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট চিলিমাকে বহনকারী বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
এদিকে, মালাউইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও তার সহযোগীদের মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোক ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জুন) থেকে শেষকৃত্যের দিন পর্যন্ত পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ম্যাককার্থি।
বিমান দুর্ঘটনার খবর দেশটির প্রেসিডেন্ট ড. লাজারাস ম্যাককার্থি চাকভেরাকে জানানো হয়। তিনি দুর্ঘটনায় নিহত ভাইস প্রেসিডেন্টের পরিবারসহ অন্যদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
মালাউই সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিখোঁজ হওয়া মালাউই ডিফেন্স ফোর্সের বিমানটির উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে। বিমানটিতে থাকা ভাইস প্রেসিডেন্ট সাওলোস ক্লাউস চিলিমাসহ ১০ জনের সন্ধান চিকানগাওয়ায় পাওয়া গেছে। দুর্ভাগ্যবশত বিমানটিতে থাকা সবাই নিহত হয়েছেন।
বিমানটি রাডারের বাইরে চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মালাউইয়ের প্রতিরক্ষা বাহিনী, পুলিশ সার্ভিস, বেসামরিক বিমান চলাচল বিভাগসহ বিভিন্ন সংস্থা অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শুরু করে।’
এর আগে সোমবার (১০ জুন) ভাইস প্রেসিডেন্ট সাওলোস চিলিমাকে বহনকারী বিমানটি রাজধানী লিলংওয়ে থেকে মুজুজু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাচ্ছিল। গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর আগেই বিমানটি হঠাৎ রাডারের বাইরে চলে গেলে, বিমান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় বিমানটিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছাড়া আরও ৯ জন আরোহী ছিলেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটিও যখন বিধ্বস্ত হয় তার আগে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পাহাড়ি এলাকায় বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে অবতরণের সময় হেলিকপ্টারটি আছড়ে পড়ে।