বুকারজয়ী ভারতীয় লেখক ও মানবাধিকারকর্মী অরুন্ধতী রায়ের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে (ইউএপিএ) মামলার অনুমতি দিয়েছেন দিল্লির গভর্নর বিনাই কুমার সাক্সেনা। একই সঙ্গে কাশ্মীর সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির সাবেক অধ্যাপক শেখ শওকত হুসেনের বিরুদ্ধেও মামলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ জুন) সন্ত্রাস দমন আইনের (ইউএপিএ) ৪৫ ধারায় তাদের বিচারের অনুমতি দিলেন বিনাই কুমার সাক্সেনা, যিনি ভি কে সাক্সেনা নামে পরিচিত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যার জানিয়েছে, অরুন্ধতী ও শওকতের বিরুদ্ধে ‘জনসমক্ষে উসকানিমূলক বক্তব্য’ দেওয়ার অভিযোগ তুলে এফআইআর দায়ের করেছিলেন সুশীল পণ্ডিত নামের একজন সমাজকর্মী।
এর আগে গত বছরের অক্টোবরে দিল্লি পুলিশ অরুন্ধতী রায় ও শওকত হুসেনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ১৫৩-এ, ১৫৩–বি, ৫০৪, ৫০৫ এবং ইউএপিএর ১৩ ধারায় বিচারের অনুমতি চেয়েছিল। তখন শুধু আইপিসির অধীনে তাদের বিচারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এবার ইউএপিএ আইনেও তাদের বিচারের অনুমতি দিলেন ভি কে সাক্সেনা।
দিল্লির গভর্নর হাউসের একজন কর্মকর্তা অরুন্ধতী রায় ও শওকত হুসেনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি হিন্দুস্তান টাইমসের কাছে নিশ্চিত করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, “জনসমক্ষে বক্তব্য দেওয়ার সময় অরুন্ধতী রায় ও অধ্যাপক শওকত ভারত থেকে কাশ্মীরকে বিচ্ছিন্ন করার কথা বলেছিলেন। এটি স্পষ্টভাবেই উসকানি দেওয়ার সমতুল্য।”
অভিযোগপত্রে সুশীল পণ্ডিত বলেছেন, ২০১০ সালের অক্টোবরে দিল্লির এলটিজি অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক সেমিনারে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন অরুন্ধতী রায় ও অধ্যাপক শওকত হুসেন।
তারা বলেছিলেন, কাশ্মীর কখনোই ভারতের অংশ ছিল না। ভারতের সশস্ত্র বাহিনী এটি জোর করে দখল করেছে। তাই জম্মু ও কাশ্মীরের স্বাধীনতার জন্য অবশ্যই লড়াই করা উচিত।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, সন্ত্রাস দমন আইনে মামলার ব্যাপারে এখনো প্রতিক্রিয়া জানাননি অরুন্ধতী রায়। এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি অধ্যাপক শওকত হুসেনও।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দোষী সাব্যস্ত হলে সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে এই খ্যাতিমান লেখকের। অরুন্ধতী রায় ‘গড অফ দ্য স্মল থিংস’ উপন্যাস লিখে ১৯৯৭ সালে বুকার পুরস্কার পেয়েছিলেন।