কানাডার নোভা স্কোটিয়া প্রদেশে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যেই সেখানে বেশকিছু বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। বৃহত্তম শহর হ্যালিফেক্সের কাছে প্রায় ১৬ হাজার ৪০০ মানুষ নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন।
স্থানীয় সময় রোববার দাবানলের কারণে সেখানে জরুরি অবস্থা জারি করতে বাধ্য হয় হ্যালিফেক্সের স্থানীয় প্রশাসন। দাবানল নিয়ন্ত্রণে পানি, আকাশ শক্তিসহ সব উপায় ব্যবহার করা হলেও এটি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। শুধু তাই নয়, সামনের কয়েকদিন এ পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, নোভা স্কোটিয়ায় ১৩টি দাবানলে মোট ২৫ হাজার একরেরও বেশি জায়গায় পুড়ে গেছে। ভয়াবহ এই দাবানল ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ চলে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হ্যালিফেক্স পৌরসভার জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান এরিকা ফ্লেক বলেছেন, ১৬ হাজার ৪২৯ জন মানুষ নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দক্ষিণ-পশ্চিম নোভা স্কোটিয়ার শেলবোর্ন কাউন্টি থেকে প্রায় ৪০০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২০০টি বাড়ি বা কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উষ্ণ, শুষ্ক এবং ঝড়ো আবহাওয়ার কারণে টানটালোন কমিউনিটির কাছে দাবানলের আগুন ছড়িয়েছে ৮৩৭ হেক্টর। ধারণা করা হচ্ছে, এ সপ্তাহে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাবে।
হ্যালিফেক্সের আঞ্চলিক ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি বিভাগের উপপ্রধান ডেভ ম্যালড্রাম জানিয়েছেন, দমকলকর্মীরা গত চারদিন ধরে প্রায় সবকিছু ব্যবহার করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু বর্তমানে এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
আগুন নেভানোর জন্য প্রদেশটির যে সক্ষমতা রয়েছে সেটি দিয়ে এই দাবানল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন নোভা স্কোটিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের পরিচালক। এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বর্তমানে অবকাঠামো বাঁচানোর বদলে মানুষের জীবন বাঁচানোকে প্রাধান্য দিচ্ছেন তারা।
তবে আশার কথা এই যে, সেখানে দাবানলের কারণে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই দাবানলের ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা গেছে বিশাল এলাকা জুড়ে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে।