• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

টাইটানিক দেখানো বন্ধের আহ্বান


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৩, ০১:২৯ পিএম
টাইটানিক দেখানো বন্ধের আহ্বান

আটলান্টিক সাগরের তলদেশে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া সাবমেরিন টাইটানেরও একই পরিণতি হলো। টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের পাশেই পাওয়া গিয়েছে টাইটান সাবমেরিনের ধ্বংসস্তূপ। চার দিন মহাসাগরের তলদেশে ব্যাপক তল্লাশির পর বৃহস্পতিবার উদ্ধারকারীরা টাইটানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার কথা জানান। ফলে মারা গেছেন সাবমেরিনটিতে থাকা পাঁচ আরোহী।

শখের বশে কোটি টাকা খরচ করে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে সাবমেরিন টাইটানে চড়ে আটলান্টিকের তলদেশে গিয়েছিলেন ওই পর্যটকরা। সাবমেরিনটির চালাচ্ছিলেন এটির মালিক নিজেই। মর্মান্তিক এ ঘটনা ইতোমধ্যেই নজর কেড়েছে বিশ্ববাসীর।

মৃত্যুর খবর ঘোষণার পরে এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় টাইটানিক টাইটানিক বিশেষজ্ঞ টিম মালটিন বলেন, গভীর সাগরে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত দক্ষতা অর্জন না করা পর্যন্ত এই ভ্রমণ বন্ধ রাখা দরকার। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিবিসিকে দেওয়া এ সাক্ষাৎকারে টিম মালটিন এ কথা বলেন।

ব্রিটিশ নাগরিক টিম মালটিন প্রায় ২৫ বছর ধরে টাইটানিক নিয়ে গবেষণা করেছেন তিনি। এ বিষয়ে তার একাধিক বই রয়েছে। টাইটানিক নিয়ে লেখা তার বই নিয়ে একাধিক প্রামাণ্যচিত্র তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, গভীর সমুদ্র ঘিরে পর্যটন ব্যবসা বাদ দেওয়া উচিত। বিশেষ করে টাইটানিক ভ্রমণ। এ ধরনের ভ্রমণের আগে গভীর সমুদ্রে যাওয়ার সনদ নিতে হবে।

গত রোববার (১৮ জুন) সাগরের তলদেশে পড়ে থাকা টাইটানিক জাহাজ দেখতে পাঁচ আরোহী নিয়ে সমুদ্রে ডুব দেয় ছোট আকৃতির সাবমেরিন। এর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরই এটির সঙ্গে ওপরে থাকা জাহাজের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপরই শুরু হয় উদ্ধার অভিযান।

এমন খবরে তাৎক্ষণিক বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার। এ ছাড়া বুধবার সমুদ্রের নিচ থেকে যে শক্তিশালী শব্দ এসেছিল তার সঙ্গে টাইটান সাবমেরিন কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।

যেহেতু সাবমেরিন বিস্ফোরণ হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তাই সেখানে থাকা উদ্ধারকারী জাহাজ ও মেডিকেল টিমকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হবে। তবে সাগরের তল দেশে যে ধ্বংসস্তূপ পাওয়া গেছে, সেখানে তদন্ত চালাবে মার্কিন কোস্টগার্ড। ফলে সেখানে গভীর সমুদ্রের দূরনিয়ন্ত্রিত যান থাকবে।

টাইটানের ভেতরে যাত্রীরা হলেন পাকিস্তানি  ব্যবসায়ী ও ধনকুবের শাহজাদা দাউদ (৪৮) ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ (১৯), ওশানগেটের মালিক স্টকটন রাশও আছেন। আরেকজন পর্যটক ছিলেন ব্রিটেনের ধনকুবের হ্যামিশ হার্ডিং। যুদ্ধবিমান নির্মাণকারী সংস্থা ‍‍‘অ্যাকশন এভিয়েশনে’র চেয়ারম্যান তিনি। গভীর সমুদ্রে যাওয়ার নেশা ছিল তার। এ ছাড়া ৭৭ বছর বয়সী ফরাসি পরিব্রাজক নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ডাইভার পল-হেনরি নারগোলেট।

টাইটানিক জাহাজটি ১৯১২ সালে সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্ক আসার পথে একটি বরফ খণ্ডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। এটি ছিল সেই সময়ের সবচেয়ে বড় জাহাজ এবং প্রথম যাত্রাও তা শেষ করতে পারেনি। ওই দুর্ঘটনায় জাহাজে থাকা ২ হাজার ২০০ যাত্রী এবং ক্রুদের মধ্যে ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল। ১৯৮৫ সালে জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হওয়ার পর থেকে এ নিয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান শুরু হয়। 

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!