চীন ও মিয়ানমারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ফটকের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে তিন দলীয় জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’। চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ও মানুষজনের যাতায়াতের জন্য এই ফটকটি গুরুত্বপূর্ণ।
রোববার (২৬ নভেম্বর) স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে জানায় এএফপি।
এরমধ্যে দিয়ে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার।
সম্প্রতি চীন সীমান্তে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে জোটটির সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। গত ২৭ অক্টোবর থেকে সশস্ত্র তিনটি দলীয় জোট একত্রে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে হামলার পর দুই পক্ষের মধ্যে এ সহিংসতা শুরু হয়।
‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ জান্তা সরকারের অনেক নিরাপত্তাকর্মী ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ছোট শহরের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই শহরের নিয়ন্ত্রণ হারানো জান্তা সরকারের জন্য বড় একটি ধাক্কা হয়ে এসেছে।
ব্রাদারহুড জোটে থাকা তিন সশস্ত্র গোষ্ঠীর একটি হলো মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ)। দলটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক স্থানীয় সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, রোববার এমএনডিএএ কিন সান কিইয়াত সীমান্ত ফটকের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে আরও জানানো হয়, শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) হামলা শুরু করার পর এমএনডিএএ, আরাকান আর্মি (এএ) ও তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) এর এই জোটটি চীন সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অঞ্চলটির বেশ কিছু এলাকারও নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
এদিকে মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর একটি সূত্রের বরাতে এএফপি জানায়, নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সীমান্ত ফটকে নিজেদের পতাকা উত্তোলন করেছে এমএনডিএএ।
চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পথ কিন সান কিইয়াত ফটক। করোনা মহামারির সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া এই ফটকটি, ২০২২ সালে আবার চালু হয়।
কয়েক দিন আগে জান্তা সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন জানান, এ ফটকের সামনে অন্তত ১২০টি পণ্যবাহী ট্রাক জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই নাশকতার জন্য ব্রাদারহুডকেই দায়ী করেন তিনি।
ব্রাদারহুডের সঙ্গে জান্তা সরকারের এ লড়াইয়ে মিয়ানমারের অর্থনীতি অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এই সীমান্ত ফটকের নিয়ন্ত্রণ হারানোর ফলে শুল্ক ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ও কমে যাবে।