• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শরীরে গন্ধ, অভিযোগে বিমান থেকে নামানো হলো কৃষ্ণাঙ্গ যাত্রীদের


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২৪, ০১:১৪ পিএম
শরীরে গন্ধ, অভিযোগে বিমান থেকে নামানো হলো কৃষ্ণাঙ্গ যাত্রীদের
ভুক্তভোগী কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক। ছবি: বিবিসি।

শরীরে গন্ধ আছে, এমন অভিযোগ তুলে আমেরিকায় আট কৃষ্ণাঙ্গ যাত্রীকে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি একটি বিবৃতি দিয়েছেন। যেখানে দাবি করেছেন, তারা বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছিল আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ৫ জানুয়ারির ফিনিক্স, অ্যারিজোনা থেকে নিউইয়র্কগামী ফ্লাইটে। গত বুধবার (২৮ মে) ভুক্তভোগীদের মধ্যে অ্যালভিন জ্যাকসন, ইমানুয়েল জিন জোসেফ এবং জেভিয়ার ভেল নামের তিন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি অভিযোগ তুলেছেন।

অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, গায়ে দুর্গন্ধের কথা বলে ফ্লাইট থেকে যাদের নামানো হয়েছে তারা সবাই কৃষ্ণাঙ্গ ছিলেন। তারা প্রত্যেকেই আলাদা সিটে বসেছিলেন। তাদের একজনের সঙ্গে আরেকজনের আগে থেকে কোনো পরিচয়ও ছিল না। কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ার জন্যই আমেরিকান এয়ারলাইন্স এমনটি করেছে এবং এর জন্য তারা বিব্রত ও অপমানিত হয়েছেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন।

এদিকে, অভিযোগকারীদের হয়ে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ এনে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ‘পাবলিক সিটিজেন’ নামে একটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ। অন্যদিকে, আমেরিকান এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এনিয়ে খবর প্রকাশ করেছে সংবাদ সংস্থা বিবিসি।

‘পাবলিক সিটিজেন’ এর দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীরা ফ্লাইটে বসে ছিলেন এবং ফিনিক্স ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এমন সময় ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট তাদের প্রত্যেকের কাছে গিয়ে তাদের বাইরে যেতে বলেন।

অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, ভুক্তভোগীরা কিছুক্ষণের মধ্যেই টের পেয়েছিলেন যে ফ্লাইটে থাকা মোট ৮ জন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কারণ, ‘একজন সাদা পুরুষ ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট একজন অজ্ঞাত যাত্রীর শরীরের গন্ধ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিল।’

মামলার অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ভুক্তভোগীরা যখন ফ্লাইট থেকে নেমে অপেক্ষা করছিলেন তখন পাইলট যাত্রীদের ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছিলেন, ‘শরীরের গন্ধ’ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে ফ্লাইট বিলম্ব হয়েছে।

এয়ারলাইন্সের কর্মীরা তাদের অন্য ফ্লাইটে পাঠানোর চেষ্টা করলেও অন্য কোনো ফ্লাইট না থাকায় তাদের আগের ফ্লাইটেই পুনরায় আসন গ্রহণ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

তবে মামলার বাদীরা বলছেন, দুর্গন্ধের অভিযোগ মিথ্যা। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীরা যে মানসিক যন্ত্রণার মুখোমুখি হয়েছেন তার জন্য এয়ারলাইনটিকে অনির্দিষ্ট পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করা উচিত।

তবে একটি বিবৃতিতে আমেরিকান এয়ারলাইনস জানিয়েছে, ‘আমরা বৈষম্যের সব অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিই। আমাদের গ্রাহকরা ফ্লাইটের সময় যাতে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা নিতে পারেন সে চেষ্টা করি।’

এর আগে ২০১৭ সালে একটি নাগরিক অধিকার গ্রুপ আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ এনে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিদের এয়ারলাইনটির পরিষেবা ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছিল। তবে পরবর্তীতে এয়ারলাইনটি নিজেদের পরিষেবায় পরিবর্তন এনেছে জানানোর পর অভিযোগটি তুলে নেওয়া হয়েছিল।

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!