দক্ষিণ গাজায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েলের আচরণের কঠোর সমালোচনা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে এবং হতাহত এড়াতে ইসরায়েল সরকার কথা দিয়েছিল। কিন্তু তাদের আচরণের সঙ্গে এর অনেক ফারাক রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। সেখানে তিনি বলেন, “প্রায় এক সপ্তাহ ধরে দক্ষিণ গাজায় চালানো অভিযানে বেসামরিক মানুষের সুরক্ষায় ইসরায়েলের পদক্ষেপ নেওয়াটা অপরিহার্য।”
তবে ইসরায়েল প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ব্যবস্থা না নেওয়ায় ব্লিঙ্কেন হতাশা প্রকাশ করে বলেন, “বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করতে ইসরায়েলের পরিকল্পনা এবং যুদ্ধক্ষেত্রে যে চিত্র দেখা যাচ্ছে, তাতে বেশ ফারাক থেকে যাচ্ছে।”
এদিকে ইসরায়েল হামাসকে নির্মূল করবে বলে জানায়। বেসামরিক নাগরিকদের যেন ক্ষয়ক্ষতি না হয়, তা নিশ্চিত করতে অভিযানের আগে সতর্কবার্তা দেওয়াসহ সবকিছু করা হচ্ছে বলেও দাবি করছে তারা।
বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহর সঙ্গে আলাদা করে ফোনে কথা বলেছেন। তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং হামাস থেকে বেসামরিক নাগরিকদের আলাদা করার ওপর জোর আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় শহরগুলোতে হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের লড়াইয়ে কয়েক শ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা ৩৫০ জন নিহত হওয়ার কথা জানান। এদিকে খান ইউনিসে কয়েকজন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহতের কথা জানিয়েছে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ।
গাজায় দ্রুত যুদ্ধবিরতি কার্যকরের জন্য আরব রাষ্ট্রগুলো আবারও তৎপরতা শুরু করেছে। এরই মধ্যে শুক্রবার একটি খসড়া প্রস্তাবের ব্যাপারে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি করার জন্য আবেদন জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
তবে এ যুদ্ধবিরতি শুধু হামাসকেই সুবিধা দেবে বলে দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। মিশরসহ আরব নেতাদের সঙ্গে শুক্রবার ওয়াশিংটনে ব্লিঙ্কেনের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
