পশ্চিমবঙ্গে বুথ ফেরত ফলাফল পুরো উল্টে গেছে। ভোট গণনার পর থেকে বাজিমাত করতে চলেছে মমতা ব্যানার্জি আর অভিষেক ব্যানার্জির দল তৃণমূল। ফলে দেড় যুগের বেশি সময় পশ্চিমবঙ্গকে কৌশলগতভাবে কব্জাগত করার বিজেপির চেষ্টা এবারও ব্যর্থ হওয়ার পথে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) ভারতীয় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
সর্বশেষ পাওয়া তথ্যানুযায়ী, গত ১০ বছরে রাজ্যটিতে যত নির্বাচন হয়েছে প্রত্যেকটিতেই ভূমিধস জয়ের ঘোষণা দিয়েছিল বিজেপি। তবে ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা গেছে একের পর এক প্রার্থীর হেরে যাওয়ায় লক্ষ্যের ধারে কাছেও যেতে পারেনি মোদির দল। এবারের নির্বাচনেও তেমনটাই ঘটতে চলেছে।
ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রকাশ করা প্রাথমিক ফলাফলে জানা গেছে, রাজ্যটির ৪২টি সংসদীয় আসনের ৩০টিরও বেশি আসনে জয়ের পথে আছে তৃণমূল। রয়েসরে ১০টি পেতে পারে বিজেপি আর একটি কংগ্রেস।
বিজেপির এই ফলাফল বিগত ২০১৯ সালের নির্বাচনি ফলাফলের চেয়ে খারাপ। ওই নির্বাচনে ২২টি আসনে জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি জিতেছিল ১৮টি আসনে। এই লোকসভায় বিজেপির আসন কমে অর্ধেকে নামার পথে।
ভোটের ফল বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের অনেক নতুন প্রার্থীর সামনে পিছিয়ে পড়ছেন বিজেপির অভিজ্ঞ প্রার্থীরা।
অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি এবারই প্রথম নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তার বিপক্ষে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী করছেন অভিনেত্রী লকেট চ্যাটার্জি। হুগলিতে রচনার সামনে মুখ থুবড়ে পড়ার দশা লকেটের।
মালদা দক্ষিণে কংগ্রেসের প্রার্থী ইশা খান চৌধুরীর চেয়ে পিছিয়ে আছেন বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। যাদবপুর আসনের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গাঙ্গুলীর চেয়ে এগিয়ে আছেন।