সম্প্রতি ওপেক প্লাস জোট তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন এই জোটে আছে রাশিয়ার মিত্ররাও। তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তটি রাশিয়ার পক্ষেই যায়। ফলে ক্ষেপেছে বাইডেন ও তার প্রশাসন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বক্তব্যের বরাতে রয়টার্স জানায়, তিনি অঙ্গীকার করেছেন সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করা হবে। ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়বে মার্কিন-সৌদি সম্পর্কে।
তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংগঠন ওপেকের সদস্যরা গত সপ্তাহে তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। বিষয়টিতে আপত্তি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। সিনেটন বব মেনেন্দেজ এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, “অবিলম্বে অস্ত্র বিক্রিসহ সৌদি আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের সহযোগিতা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।”
ইউক্রেনে হামলার জবাবে রাশিয়ার তেলের দাম বেঁধে দেওয়ার দেওয়ার চেষ্টা করছে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে রাশিয়া এ প্রচেষ্টার বিরোধিতা করে আসছে। তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সৌদি আরব রাশিয়ার বশ্যতা মেনে নিয়েছে বলে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের। হোয়াইট হাউস জানায়, আগামী সপ্তাহ ও মাসগুলোতে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেছেন, ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্ত একেবারেই অর্থনীতিকেন্দ্রিক এবং সদস্যদেশগুলো সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আল-অ্যারাবিয়া টেলিভিশনকে তিনি বলেন, ওপেক প্লাস সদস্যরা দায়িত্বশীলভাবে কাজ করেছে এবং যথাযথ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।