চীনের আন্তর্জাতিক প্রভাব প্রতিরোধ করার কোনো চেষ্টার কথা অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভিয়েতনামের সঙ্গে নতুন এক ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ দাবি করেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ৫০ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা ভিয়েতনাম ত্যাগ করেছিলেন। জো বাইডেনের এই হ্যানয় সফরে স্বাক্ষরিত চুক্তির ফলে প্রাক্তন শত্রুদেশ দুইটি আগের চেয়ে আরও কাছে আসবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
ভিয়েতনামের সঙ্গে ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্ব যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সম্পর্কের বড় একটি অগ্রগতি। এই চুক্তি ভিয়েতনামের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য গত দুই বছর ধরে ওয়াশিংটনের নিরলস চাপের চূড়ান্ত পরিণতি। যা এশিয়ায় চীনের প্রভাব মোকাবেলার চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের পর ভারত থেকে ভিয়েতনাম সফরে যাওয়া জো বাইডেন রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) হ্যানয়ে সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপগুলো চীনকে কোনঠাসা বা বিচ্ছিন্ন করার জন্য নয়। বরং আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য এই পদক্ষেগুলো গৃহীত হয়েছে।
বাইডেন বলেন, “আমি মনে করি আমরা স্নায়ুযুদ্ধের প্রেক্ষিতে খুব বেশি চিন্তা করি। এটা সেরকম কিছু নয়। এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার বিষয়। আমি চীনকে অর্থনৈতিকভাবে সফল দেখতে চাই, কিন্তু আমি তাদের নিয়ম অনুযায়ী সফল হতে দেখতে চাই।”
ভিয়েতনামের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের উন্নয়নে বেইজিং অভিযোগ করেছে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতার’ প্রমাণ।
কিন্তু হ্যানয় এই বিষয়টি পুরো ভেবে দেখেছে বলে মনে করেন সিঙ্গাপুরের আইএসইএএস-ইউসুফ ইশাক ইনস্টিটিউটের লে হং হিপ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই চুক্তিটিকে অনেকটাই প্রতীকী বলে অভিহিত করেন।