ক্ষমতা ছাড়ার শেষ দিকে এসে ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ছেলে হান্টার বাইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ভাষায়, এ ঘটনা বিচারব্যবস্থার অপব্যবহার ও গর্ভপাতের শামিল।
এর আগে বাইডেন আশ্বাস দিয়েছিলেন, ছেলে হান্টারের কোনো আইনগত ঝামেলায় তিনি হস্তক্ষেপ করবেন না।
এ বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, “হান্টারের মামলার তথ্য যাচাই করলে যে কেউ বুঝতে পারবেন, শুধু আমার ছেলে হওয়ার কারণে তাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। আর এটা ভুল।”
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, “আমি বিচার বিভাগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করবো না বলে জানিয়েছিলাম, ছেলেকে উদ্দেশ্যমূলক ও অন্যায়ভাবে বিচারের মুখোমুখি হতে দেখেও আমি আমার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসিনি।”
এদিকে এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, “প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ব্যবহার জো হান্টারকে ক্ষমা করেছেন। হান্টারকে করা ক্ষমার মধ্যে কি জে-সিক্স (২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনা) বন্দীরাও অন্তর্ভুক্ত, যাদের বছরের পর বছর ধরে কারাগারে রাখা হয়েছে? এটি বিচারব্যবস্থার অপব্যবহার ও গর্ভপাতের শামিল!”
প্রেসিডেন্ট-পুত্র হান্টার এ বছরের শুরুতে মাদক সেবন ও অস্ত্রের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত হন। এ ছাড়া কর ফাঁকির ঘটনাতেও তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। তবে তার কারাদণ্ড হয়নি।
এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের এমন ক্ষমা প্রদর্শনের উদাহরণ রয়েছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন কোকেন সংক্রান্ত মামলায় তার সৎভাইকে ক্ষমা করেছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পও তার আগের মেয়াদে কর ফাঁকির মামলায় ছেলের শ্বশুরকে ক্ষমা করেন।