• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বেলারুশে ওয়াগনারের উপস্থিতিতে শঙ্কা, সদস্যদের রক্ষা করবে ন্যাটো


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৩, ০৪:৩৫ পিএম
বেলারুশে ওয়াগনারের উপস্থিতিতে শঙ্কা, সদস্যদের রক্ষা করবে ন্যাটো

ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেছে যে, রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গোষ্ঠীর বেলারুশ যাওয়ার প্রেক্ষিতে সৃষ্ট সম্ভাব্য যে কোনো হুমকি থেকে নিজ সদস্যদের রক্ষা করতে প্রস্তুত রয়েছে পশ্চিমা সামরিক জোট।

মস্কো থেকে মিনস্কে আসা আধা সামরিক এই রুশ বাহিনী ন্যাটোর পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোর জন্য অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে- এমন আশঙ্কার মধ্যেই নিজ সদস্যদের এ আশ্বাস দিলেন স্টলটেনবার্গ।

বুধবার (২৮ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, রাশিয়ার ব্যর্থ বিদ্রোহের পর বেলারুশে পাড়ি জমাচ্ছে রুশ ভাড়াটে ওয়াগনার গোষ্ঠী। বিষয়টি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে জোটটির পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলো।

এ বিষয় নিয়ে নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগে ন্যাটোর এক শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গসহ উপস্থিত ছিলেন জোটটির ৬ সদস্যদেশের সরকারি কর্মকর্তারা। শঙ্কিত দেশগুলোর নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন স্টলটেনবার্গ। তিনি বলেছেন, যেকোনো হুমকি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে প্রস্তুত ন্যাটো।

লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট গিতানাস নাউসেদা বলেন, “যদি বেলারুশে ওয়াগনার তার যোদ্ধাদের মোতায়েন করে তাহলে পার্শ্ববর্তী সব দেশের মধ্যে অস্থিতিশীলতা আরও বাড়বে, আরও বড় বিপদের মুখোমুখি হবে দেশগুলো।”

পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা বলেন, “বিষয়টি গুরুতর এবং উদ্বেগজনক। কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমাদের।”

জবাবে স্টলটেনবার্গ বলেন, “মস্কো ও মিনস্ককে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে যে ন্যাটোর প্রতিটি সদস্যকে আমরা রক্ষা করব, ন্যাটো ভূখণ্ডের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষা করব। প্রতিরক্ষার জন্য ইতোমধ্যে পূর্ব ইউরোপীয় সদস্যদেশগুলোতে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে।”

বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, মঙ্গলবার মিনস্কে পৌঁছেছেন ওয়াগনার গোষ্ঠীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। প্রায় ২৪ ঘণ্টার ব্যর্থ বিদ্রোহের পর রাশিয়া ছাড়েন তিনি। এদিকে তার যোদ্ধাদের ওপর থেকে সব অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে মস্কো। তারা চাইলে বেলারুশে পাড়ি জমাতে পারে, বাড়ি ফিরতে পারে কিংবা ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে ফিরে যেতে পারে।

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!