‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে’ আরও এক ধাপ পেছাল বাংলাদেশ। ৩৫ দশমিক ৩১ পয়েন্ট নিয়ে ২০২৩ সালে ১৮০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৩। বাংলাদেশের আগের অবস্থান ছিল ১৬২।
বুধবার (৩ মে) ফ্রান্সভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ) প্রকাশিত সূচক থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর অবস্থান বাংলাদেশের চেয়ে ভালো। বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ)। সংগঠনটি প্রতিবছর গণমাধ্যমের স্বাধীনতার নানা দিক খতিয়ে এই সূচক তৈরি করে।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচক তৈরিতে আরএসএফ মূলত ৫টি বিষয় বিবেচনায় নেয়। তা হলো, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, আইনি অবকাঠামো, অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট ও নিরাপত্তা।
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ) প্রকাশিত সূচকে দেখা গেছে, ৯৫ দশমিক ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সূচকের শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। আর ২১ দশমিক ৭২ নিয়ে একেবারে তলানিতে উত্তর কোরিয়া। নরওয়ে ছাড়া শীর্ষ ১০-এ রয়েছে আয়ারল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, লিথুয়ানিয়া, এস্তোনিয়া, পর্তুগাল ও তিমুর লেস্তে। এ বছরের সূচকে ৩৫ দশমিক ৩১ স্কোর পেয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে গত বছর ৩৬ দশমিক ৬৩ স্কোর নিয়ে এক ধাপ ওপরে ছিল।
২০১০ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২৬। পরে ২০১১-১২ সালে ১২৯, ২০১৩ সালে ১৪৪, ২০১৪ সালে ১৪৬, ২০১৫ সালে ১৪৬, ২০১৬ সালে ১৪৪, ২০১৭ সালে ১৪৬, ২০১৮ সালে ১৪৬, ২০১৯ সালে ১৫০, ২০২০ সালে ১৫১, ২০২১ সালে ১৫২ নম্বর অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ।
আরএসএফের সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার বেশির ভাগ দেশগুলোর অবস্থান নিচের দিকে। সূচকে ভারতের অবস্থান ১৬১ আর পাকিস্তানের অবস্থান ১৫০তম। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে ১১ ধাপ উন্নতি হয়েছে শ্রীলঙ্কার। তালিকায় দেশটির অবস্থান ১৩৫তম। ভুটানের অবস্থান ৯০তম, নেপাল ৯৫, তালিকায় ১৫২তম অবস্থানে আফগানিস্তান।
যুদ্ধে লিপ্ত রাশিয়া ও ইউক্রেনের অবস্থান যথাক্রমে ১৬৪ ও ৭৯। চীনের ১৭৯, যুক্তরাষ্ট্র ৪৫ ও যুক্তরাজ্য ২৬ নম্বর অবস্থানে রয়েছে।
সংগঠনটির ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ মিডিয়া ল্যান্ডস্কেপ নিয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের দুটি শীর্ষস্থানীয় রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এবং বাংলাদেশ বেতার। দেশে বর্তমানে ৩ হাজার প্রিন্ট মিডিয়া, ৩০টি রেডিও স্টেশন, ৩০টি টিভি চ্যানেল এবং কয়েক শ অনলাইন নিউজ পোর্টাল রয়েছে।