• ঢাকা
  • বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬
নিহত বেড়ে ৪৩

কুয়েতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থলে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৪, ০৫:১৪ পিএম
কুয়েতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থলে  বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা

কুয়েতের দক্ষিণাঞ্চলে শ্রমিকদের আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৪৩ জন। সেখানে ভুক্তভোগীদের মধ্যে এখন অবধি বাংলাদেশি শ্রমিকের নাম পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা।

কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর এবং হেড অব চ্যানসেরি মো. মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, “অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত কোনও বাংলাদেশি হতাহতের খবর নেই নেই আমাদের কাছে। যে ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে মূলত ভারতীয় শ্রমিকরা থাকেন বলে জানা গেছে।”

কুয়েতের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার (১২ জুন) ভোরে দেশটির মাঙ্গাফ শহরে শ্রমিকদের একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হয়। গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ ও আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।

কুয়েতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, আগুনে দগ্ধ ও আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। আগুনে দগ্ধ ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা দিতে মেডিকেল টিম তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে কুয়েত সরকার।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেকেই খোঁজ-খবর নিচ্ছেন, ভবনটিতে কোনও বাংলাদেশি শ্রমিক ছিলেন কিনা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ‍দূতাবাসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।

কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর বলেছেন, “আমাদের কর্মকর্তারা সেখানে রয়েছেন। বিষয়টি তদারকি করছেন। কোনও কিছু জানা গেলে, আপনাদের জানানো হবে।” তবে মো. মনিরুজ্জামান আরও বলেন, “যে ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে মূলত ভারতীয় শ্রমিকরা থাকেন।”

কুয়েতের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, “যে ভবনটিতে আগুন লেগেছে, সেটিতে শ্রমিকরা বসবাস করতেন। অগ্নিকাণ্ডের সময় সেখানে অসংখ্য শ্রমিক ছিলেন। তাদের মধ্যে কয়েক ডজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে দুর্ভাগ্যবশত ধোঁয়ার কারণে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে।”

Link copied!