ইসরায়েলের তেল আবিবের একটি সমুদ্রসৈকতের কাছে ‘গাড়ি হামলায়’ একজন ইতালীয় পর্যটক নিহত এবং আরও সাতজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় রাত ৯টা ২৫ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিকে ইতালির নাগরিক আলেসান্দ্রো পারিনি বলে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
শনিবার (৮ এপ্রিল) বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। ঘটনাস্থলের ফুটেজে দেখা গেছে, একটি ফুটপাতের কাছে গাড়িটি উল্টে আছে। ইসরায়েলি এক পুলিশ কর্মকর্তা গুলি চালাচ্ছেন।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন হামলাকারীকে অফিসাররা গুলি করে হত্যা করেছে। ফিলিস্তিনের দখলকৃত পশ্চিম তীরে গুলিতে শুক্রবার ভোরে দুই ব্রিটিশ-ইসরায়েলি বোন নিহত এবং তাদের মা আহত হওয়ার পর এ হামলা হয়। তারা একটি গাড়িতে ছিলেন। জর্ডান উপত্যকার উত্তরে হামরা জংশনের কাছে তাদের গুলি করা হয়।
তেল আবিবের পুলিশ জানিয়েছে, ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি শহরের সমুদ্রসৈকতের পাশ দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। চার্লস ক্লোর গার্ডেনের লনে উল্টে যাওয়ার আগে সেটি বেশ কয়েকজন পথচারীকে আঘাত করেছিল। ঘটনাস্থলের পাশে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তা হট্টগোল শুনে সেখানে ছুটে যান। দেখেন, এক ব্যক্তি রাইফেলের মতো বস্তু বের করার চেষ্টা করছেন। পরে তাকে গুলি করা হয়।
ইসরায়েলি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বলছে, অভিযুক্ত বাদে হামলায় মোট আটজন হতাহত হয়েছেন। তারা সবাই পর্যটক। আহতদের মধ্যে তিনজনের আঘাত গুরুতর, বাকি চারজন সামান্য আঘাত পেয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এই হামলাকে কাপুরুষোচিত বর্ণনা করে শোক জানিয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।
ঘটনার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সন্ত্রাস দমনে পুলিশ ও সেনাদের নিয়ে তার কার্যালয়ে এক সভা করেছেন। এ ছাড়া তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এর আগে জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর তাণ্ডবের প্রতিবাদে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে রকেট হামলা চালিয়েছে গাজা ও লেবানন। এরপরই ইসরায়েল সেনাবাহিনী লেবাননের অভ্যন্তরে ও গাজা উপত্যকায় ‘ফিলিস্তিনি হামাসকে’ লক্ষ্য করে পাল্টা বিমান হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলছে, লেবানন থেকে উত্তর ইসরায়েলে বৃহস্পতিবার ৩৪টি রকেট ছোড়া হয়েছে। হামলার জন্য হামাসকে দায়ী করেছে তেল আবিব।
ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে আরও ‘উত্তেজনা’ বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হয়েছিল। তবে সে আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। ‘আপাতত অভিযান’ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র।
ঠিক এ রকম এক থমথমে পরিস্থিতিতে দুই ইসরায়েলি নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামলাকারীকে খুঁজে বের করতে অভিযান শুরু করে।