ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পহেলগাঁওয়ে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ পর্যটক নিহত হয়েছেন। এতে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরম আকারে ধারণ করে। এর ধারাবাহিকতায় লন্ডনে অবস্থিত পাকিস্তানি দূতাবাসে হামলা হয়েছে। হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (২৭ এপ্রিল) পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ ও ডেইলি টাইমস।
ডেইলি টাইমস জানায়, লন্ডনের পাকিস্তান হাইকমিশনে ভারতীয় উগ্রপন্থীরা হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীরা ভবনের জানালা ভেঙে ফেলে, যার ফলে ক্ষতির চিহ্ন দূর থেকে দেখা যায়। তারা সাদা দেয়াল এবং ভবনের বাইরের ফলকে গেরুয়া রং ছুঁড়ে মেরেছে।
এর আগে ভারতীয়রা হাইকমিশনের বাইরে সহিংস বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) ২ ভারতীয় বিক্ষোভকারীকে সহিংসতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে লন্ডন পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা টানা ২ দিন ধরে সমাবেশ করছে।
এদিকে ভারতীয় বিক্ষোভকারীদের জবাবে পাকিস্তানের সমর্থনে পাল্টা বিক্ষোভকারীরাও ওই সময় উপস্থিত ছিলেন। পাল্টা বিক্ষোভকারীরা কাশ্মীরে ভারতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
এ ছাড়া পাকিস্তানের হাতে ২০১৯ সালে আটক ভারতীয় বৈমানিক অভিনন্দন বর্তমানের ছবি এবং ‘চা ও কাপ’-এর প্রতীকী চিত্রও প্রদর্শিত হয়। এই চিত্র মূলত পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ‘অপারেশন সুইফট রিটোর্ট’-এর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
ব্রিটেনে ভারতীয় ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কমিউনিটি মূলত দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক ইস্যুতে বিভক্ত। বিশেষ করে কাশ্মীর ইস্যু, সাম্প্রদায়িক সংঘাত নিয়ে। এ ছাড়া দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা যখন বাড়ে, তখন ব্রিটেনে বসবাসকারী দুই কমিউনিটির মধ্যেও তা ছায়া ফেলে।