যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কার ওমাহাতে বার্ষিক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে ধনকুবের বিনিয়োগকারী ও বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন বাফেট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে পারমাণবিক বোমা তৈরির সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি এ প্রযুক্তি সামনে আনার আগে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। এর আগে এ প্রযুক্তি নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন টেসলা এবং টুইটার প্রধান ইলন মাস্ক।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। ওয়ারেন বাফেট বলেন, তিনি এ প্রযুক্তি নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত।
৯২ বছর বয়সী ওয়ারেন বাফেট বলেন, “যখন কোনো প্রযুক্তি সব ধরনের জিনিস করতে পারে, আমি একটু চিন্তিত হই। কারণ, আমরা জানি, এটাকে আমরা আর উদ্ভাবনপূর্ব অবস্থানে ফেরাতে পারব না।”
উদাহরণ হিসাবে পরমাণু বোমার প্রসঙ্গ টেনে এনে ধনকুবের বলেছেন, আমরা তো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পরমাণু বোমাও তৈরি করেছিলাম। কিন্তু সেটা কি কোনো ভাল কাজ করেছে? পরের ২০০ বছরে ওই আবিষ্কার কি ভাল কোনো প্রভাব ফেলতে পেরেছে? আমার বিশ্বাস, মানুষের ভাবনা-চিন্তার প্রক্রিয়া ছাড়া এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আগামী দিনে সব কিছু বদলে দেবে।”
তিনি মনে করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশ্বের সবকিছু পরিবর্তন করে ফেলবে। তবে মানুষ যেভাবে চিন্তা করে বা আচরণ করে, তা বদলাতে পারবে না।
বাফেটের মতোই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানান শার্লি মুংগের। তিনি জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে যে হইচই হচ্ছে, তাতে তার উদ্বেগ জন্মেছে। তার মতে, পুরনো জামানার বুদ্ধিমত্তা ভালো কাজ করছে।
সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ জিওফ্রে হিন্টন একই রকম উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের চেয়ে মানুষের জন্য আরও জরুরি হুমকি হতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।”