উপজাতিদের মর্যাদা নিয়ে ভারতের একটি আদালতের আদেশের প্রতিবাদে আন্দোলন করছে দেশটির উপজাতি গোষ্ঠীগুলো। এর মধ্যে মণিপুর রাজ্যের আটটি জেলায় এই আন্দোলন গতকাল রাত থেকে ব্যাপক সহিংস আকার ধারণ করেছে। সহিংসতা রুখতে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং আধা সামরিক বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে।
বাহিনী দুটি রাজ্যটিতে সহিংস অঞ্চলগুলোতে ‘পতাকা মার্চ এবং উদ্ধার’ অভিযান পরিচালনা করবে।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ভারতের মণিপুর রাজ্যে মেতিস গোষ্ঠীর মানুষকে ‘স্কেজিউলড ট্রাইবে’ অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন আদালত। তবে আদালতের এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে প্রদেশের নাগাসম, জোমিস এবং কুর্কি উপজাতিরা।
ভারতীয় সেনাবাহিনী বলছে, মণিপুর বেসামরিক প্রশাসনের অনুরোধে সাড়া দিয়ে সেনাবাহিনী ও আসাম রাইফেলস ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি এলাকায় পর্যাপ্তসংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে। সাধারণ মানুষকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়া এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধার করার জন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনী রাতভর উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে। ইতোমধ্যে সাড়ে ৭ হাজার বেসামরিক মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর শেয়ার করা কিছু ভিডিওতে দেখা যায়, কর্মকর্তা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করছেন।
এ সময় একজন সেনা কর্মকর্তা বলতে শোনা যায়, এটি মূল সড়ক। ডানদিকে ১০ মিটার অঞ্চলজুড়ে আমার বাহিনী রয়েছে। আমরা এখানে রাতের জন্য এসেছি। চিন্তা করবেন না।
রাজ্যের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ননট্রাইবাল অধ্যুষিত ইম্ফল পশ্চিম, কাকচিং, থৌবাল, জিরিবাম এবং বিষ্ণুপুর জেলা এবং আদিবাসী অধ্যুষিত চুরাচাঁদপুর, কাংপোকপি এবং টেংনোপাল জেলায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া মোবাইল ইন্টারনেটও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।