মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর একটি ফাঁড়ি দখলে নিয়েছে জান্তাবিরোধী আরাকান আর্মি (এএ)। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) আরাকান আর্মি ফাঁড়িটি দখলে নেয় বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও জাতিগত সশস্ত্র বিদ্রোহী জোট থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স এ তথ্য জানিয়েছে। আরাকান আর্মি এই জোটের সদস্য। এ জোটে আরও রয়েছে তা’য়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি ও মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি।
থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স এক বিবৃতিতে জানায়, রোববার স্থানীয় সময় বিকেলে মংডু শহরের তায়াং পিও লেত ইয়ার ফাঁড়ি নিয়ন্ত্রণে নেয় আরাকান আর্মি। এর ফলে সেখানে অবস্থানরত সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড ফোর্স বা বিজিএফের প্রায় ৬০ সদস্য সীমান্তের দিকে পালিয়ে যায়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফাঁড়ি দখলের আগে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে আরাকান আর্মির কয়েকজন সদস্য নিহত হয়েছেন। আরাকান আর্মি পাশেই বিজিএফের তায়াং পিও লেত ওয়েই ফাঁড়িতে আক্রমণ করেছে।
দুটি ফাঁড়িই মংডু শহরের ঠিক উত্তরে অবস্থিত। স্থানীয়রা আরএফএ বার্মিজকে জানিয়েছে, দুটি ফাঁড়িই জান্তার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোর প্রতিটিতেই তাদের অন্তত ১০০ জন করে সৈন্য ছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে গোলাগুলির মধ্যেই বিজিএফ সদস্যদের বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে দৌড়ে আসতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে কয়েকজন আহত সৈন্যও ছিল।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ২৬৪ জন। তাদের মধ্যে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য ছাড়াও সেনাবাহিনীর সদস্য, কাস্টমস ও বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন।
এর আগে গত ডিসেম্বরে আরাকান আর্মি জানিয়েছিল, তারা গত নভেম্বর মংডুতে লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে বিজিএফের ৬০টিরও বেশি ফাঁড়ি দখল করেছে। গোষ্ঠীটির দাবি, বেশিরভাগ ফাঁড়ি থেকেই জান্তার সৈন্যরা পিছু হটেছে। কারণ তাদের আক্রমণের শিকার হওয়ার ভয় ছিল।