গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে ইসরায়েলের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধবিরতির চাপ দিয়েছেন আরবের নেতারা। ইসরায়েলের এ বিমান হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনিরা এ স্কুলটিকে তাদের আশ্রয়ের জন্য ব্যবহার করে আসছিল।
এদিকে এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক জানান, বর্তমান সময়ে যুদ্ধবিরতিতে গেলে হামাস পুনরায় সংগঠিত হওয়ার সুযোগ পাবে।
৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিত হামলায় ১ হাজার ৪০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া হামাসের হাতে বন্দী রয়েছেন ২৪০ জন। এ হামলার পর পরই গাজায় পাল্টা বিমান হামলা ও স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। এ হামলায় এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৪৮৮ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
শনিবার (৪ নভেম্বর) জর্ডানের রাজধানী আম্মানে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর ও জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন। বৈঠকের পর জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “এখন আমাদের এ যুদ্ধ যাতে থামানো যায় তা নিশ্চিত করতে হবে।”
বর্তমানে গাজায় য়ে অস্থিরতা চলছে তা বন্ধ করতে হবে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলে জানিয়েছেন ব্লিংকেন। তিনি আরও বলেন যে ওয়াশিংটনের সঙ্গে তাদের মিত্র দেশগুলোর কিছুটা ভিন্নতা ছিলো।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের পর জর্ডানে তার দ্বিতীয় সফরে ব্লিংকেন বলেন, “বর্তমান সময়ে যুদ্ধবিরতি হামাসের জন্য একটা সুযোগ তৈরি করে দেবে ৭ অক্টোবরের পুনরাবৃত্তি করার।”