গাজায় ইসরায়েলি হামলা তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে আরব ও মুসলিম নেতারা। শনিবার রিয়াদে হওয়া শীর্ষ সম্মেলনে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ও বিমান হামলার কারণ হিসেবে তাদের আত্মরক্ষার যুক্তিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। রবিবার (১২ নভেম্বর) রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
আরব-মুসলিম নেতাদের এ জোট আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের তদন্তের দাবি জানায়। গাজায় হওয়া অপরাধ বন্ধের জন্য ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ দিচ্ছে সৌদি আরব। সৌদির যুবরাজ, মুহাম্মদ বিন সালমান এ বার্তাটি সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আরব ও মুসলিম নেতাদের একত্রিত করেছেন।
এ সম্মেলনে নেতারা অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাকে মুক্ত করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সম্মেলনে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ও কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানিসহ আরও অন্যান্য আরব দেশের নেতারা অংশ নেন।
সৌদি যুবরাজ সালমান বলেন, “আমাদের ভাইদের প্রতি এমন বর্বর আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা বর্তমানে মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। যা নিরাপত্তা কাউন্সিলের ব্যর্থতাকে প্রকাশ করে।”
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, “ফিলিস্তিনে গণহত্যা চলছে” তিনি ইসরায়েলের এ আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানান।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া নেতাদের প্রতি ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের মুখপাত্র ওসামা হামদান।
এদিকে গাজার আল-শিফা হাসপাতাল ঘিরে থাকা ইসরায়েলি ট্যাংক ও সেনাদের কবল থেকে বাঁচতে, সেখান থেকে পালানোর প্রস্তুতি নেয় ভীত ফিলিস্তিনিরা। সেসময় তাদের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ করেছে ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস। উপত্যকার সবচেয়ে বড় এ হাসপাতালের পরিচালক জানিয়েছেন, তাদের সেবা কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
এছাড়া স্থানীয় সময় শনিবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গাজার আরেকটি হাসপাতাল আল-কুদসের ৬৫ ফুটের মধ্যে অবস্থান করছিল ইসরায়েলি ট্যাংক। হাসপাতালটিতে ১৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক আশ্রয় নিয়েছে।
গাজায় শনিবার পর্যন্ত একমাত্র সচল হাসপাতাল হিসেবে আল-আহলি সেবা দিয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সূত্র- রয়টার্স।