মিয়ানমারের জান্তা সরকারের হাত থেকে আরও একটি রাজ্যের দখল নিয়েছে দেশটির তিন দলীয় জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’।
‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ মূলত মিয়ানমারের তিনটি দল— ‘ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র নতুন জোট।
সম্প্রতি মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের শান প্রদেশে হামলা চালিয়ে বেশ কিছু সামরিক ঘাঁটি দখল করেছে এই জোটটি। শনিবার (১১ নভেম্বর) স্থানীয় সূত্রের তথ্য অনুসারে, দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে জান্তা সরকার। বিমান হামলা করেও দলীয় জোটের এ কার্যক্রমকে আটকাতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। সেখানে ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) শান প্রদেশের প্রধান শহর ল্যাসিওর বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে জান্তা সরকার। ধারণা করা হচ্ছে, বিমান বন্দরটিকে দলীয় জোটটি তাদের দখলে নিয়ে নিয়েছে। এদিকে দলীয় জোট ও জান্তা সরকার এ গৃহযুদ্ধের শুরুতে চিন সীমান্তবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।
জোটটির দাবি, মিয়ানমার-চীন সংযোগরক্ষাকারী সড়কও এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে। পশ্চিম মিয়ানমারের সাগিয়াং প্রদেশের কালয় শহরেও দুই পক্ষের মুখোমুখি লড়াই শুরু হয়েছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গণতন্ত্রকামী নেত্রী অং সান সু চির দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি’ এর থেকে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। আড়াই বছর ধরে শাসনে থাকা সেনা সরকার এই প্রথম এতো বড় সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
মিয়ানমারের ‘স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল’ (এসএসি)-এর প্রেসিডেন্ট মিয়ন্ত শোয়ে এ পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে আমাদের দেশ টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।’’ সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।