ইউরোপের দেশ সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডের দক্ষিণের একটি শহরে চলন্ত গাড়িতে থাকা অবস্থায় একজন বন্দুকধারী পথচারীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়েছে। এতে অন্তত ৮ জন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছেন।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে শুক্রবার (৫ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার রাজধানী বেলগ্রেডের একটি স্কুলে একজন কিশোর বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে আট শিশুশিক্ষার্থী ও একজন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনার পর একদিন পরেই আবার গুলি ও হতাহতের ঘটনা ঘটল দেশটিতে।
বেলগ্রেডের প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩০ মাইল) দক্ষিণে ম্লাদেনোভাক শহরের কাছে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। ২১ বছর বয়সী ওই হামলাকারী একটি স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করে পথচারীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি করে।
দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আরটিএস জানিয়েছে, হামলাকারী হামলার পর পরই পালিয়ে গিয়েছে। পুলিশ এখনো সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির খোঁজ করছে।
সার্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রাতিস্লাভ গ্যাসিক হামলার এ ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ বলে অভিহিত করেছেন। পাশাপাশি তিনি উদ্ধারকারী দলকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন বলেও জানান।
এর আগে বুধবার বেলগ্রেডের একটি স্কুলে একজন কিশোর বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে আট শিশুশিক্ষার্থী ও একজন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে দেশটিতে। হামলায় আরও ছয়জন শিক্ষার্থী ও একজন শিক্ষক আহত হয়েছেন। ১৪ বছর বয়সী অস্ত্রধারী এক শিশু প্রথমে শিক্ষককে গুলি করে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং সন্দেহভাজন নাবালককে গ্রেপ্তার করে। একজন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র তার বাবার বন্দুক দিয়ে স্কুলের শিক্ষার্থী এবং স্কুলের নিরাপত্তাকর্মীদের লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি গুলি ছোড়ে।
দেশটিতে কঠোর বন্দুক আইন থাকা সত্ত্বেও ২০১৩ সালেও পর এক দিনের ব্যবধানে দুটি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটল। ২০১৩ সালে একজন অভিজ্ঞ সৈনিক একটি গ্রামে হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যা করেছিল।
বৃহস্পতিবার দেশটির কর্তৃপক্ষ বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন আরও কঠোর করার ঘোষণা দিয়েছে।