জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদে আবারও হামলা চালানো হলে ‘ভয়াবহ পরিণতি’ হবে বলে ইসরায়েলকে হুমকি দিয়েছে জর্ডান।
জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র, রাষ্ট্রদূত সিনান আল-মাজালি শনিবার (৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বলেছেন, “যদি ইসরায়েলি পুলিশ মসজিদ খালি করে দেওয়ার জন্য আবারও ইবাদতকারীদের ওপর হামলা চালায় অথবা মসজিদে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায় তাহলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হবে। এমনকি সহিংসতার দিকে নিয়ে যাবে। যার জন্য সবাইকে মূল্য দিতে হবে।”
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন, “পবিত্র রমজান মাসে যদি আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি অনুপ্রবেশ বন্ধ না হয় এবং ইবাদতকারীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন বন্ধ না হয় তাহলে জেরুজালেম এবং ফিলিস্তিনির দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার সব দায় ইসরায়েলি সরকারকে নিতে হবে।”
এদিকে জর্ডানের এমন হুমকির পর একটি বিবৃতি দিয়েছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, “আল-আকসার ভেতর যারা নিজেদের অবরুদ্ধ করে রাখছে, তারা বিপজ্জনক। তারা হামাস এবং অন্যান্য উগ্র দলগুলোর দ্বারা অনুপ্রাণিত।” এছাড়া জর্ডানের নিয়োগকৃত ওয়াকফ গার্ডকে মসজিদের ভেতর থাকা মানুষদের সরিয়ে দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে তারা।
যদিও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির পর আর কোনো মন্তব্য করেনি জর্ডান।
এর আগে জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদে অভিযানের নামে মুসল্লিদের ওপর তাণ্ডবের প্রতিবাদে লেবানন থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে রকেট হামলা চালানো হয়েছে। এরপরই ইসরায়েলের সেনাবাহিনী লেবাননের অভ্যন্তরে ‘ফিলিস্তিনি হামাসকে’ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
শুক্রবার আল-জাজিরা ও বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলি ভূখণ্ডে রকেট নিক্ষেপের ঘটনায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গাজায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। আর গাজায় বিমান হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা পরে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা এখন ‘লেবাননে হামলা’ করছে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা লেবানন ও গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি হামাসকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলে রকেট হামলার জন্য তারা হামাসকে দায়ী করেছে।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, দক্ষিণ লেবাননে হামাসের ‘সন্ত্রাসী’ অবকাঠামোতে আঘাত হেনেছে তারা। বৃহস্পতিবার লেবানন থেকে ইসরায়েলে ৩৪টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৫টি বাধা দেওয়া হয়েছে এবং কমপক্ষে চারটি ইসরায়েলের অভ্যন্তরে আঘাত হেনেছে।
যদিও উভয় হামলায় এখন পর্যন্ত হতাহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।