জর্জিয়ার জাতীয় বিমান পরিবহন সংস্থা জর্জিয়ান এয়ারওয়েজ দেশটির প্রেসিডেন্টকে বিমান ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা জানিয়েছেন, তাদের বিমান ব্যবহার করতে পারবেন না প্রেসিডেন্ট সালোমি জুরাবিচভিলি।
রোববার (২১ মে) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ চার বছর পর সরাসরি বিমান চলাচল শুরু করেছে জর্জিয়া। এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে জর্জিয়া এয়ারওয়েজ। রাশিয়া বিরোধী ও পশ্চিমাপন্থি প্রেসিডেন্ট সালোমি জুরাবিচভিলি এ কারণে জর্জিয়া এয়ারওয়েজের সমালোচনা করেছেন। তিনি এই সংস্থাটির বিমান বয়কট করারও আহ্বান জানিয়েছেন।
আর এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন জর্জিয়া এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতা তামাজ গাইয়াসভিলি। রুশ বার্তাসংস্থা টাস নিউজকে তিনি বলেছেন, তাদের প্রতিষ্ঠানে প্রেসিডেন্টকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে এবং যতদিন তিনি ক্ষমা না চাইবেন ততদিন অবাঞ্ছিত হিসেবেই থাকবেন।
২০১৯ সালে জর্জিয়ায় রাশিয়া বিরোধী বিক্ষোভ দেখা দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাশিয়া দেশটির সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়। কিন্তু মাত্র কয়েকদিন আগেই হঠাৎ করে রাশিয়া এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। এরপর দুই দেশের সরকার আবারও বিমান চলাচল শুরু করে।
বর্তমানে জর্জিয়ায় যে সরকার ক্ষমতায় আছে তারাও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর দিচ্ছে। এমনকি ইউক্রেনে হামলা চালানোয় পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও, জর্জিয়া এতে সামিল হয়নি।
এদিকে জর্জিয়ার রাষ্ট্রপতির পদটি পুরোটাই আলংকারিক। দেশটির বর্তমান নারী রাষ্ট্রপতি সালোমি জুরাবিচভিলির সঙ্গে সরকারের দূরত্ব রয়েছে। তার মতে, জর্জিয়া যদি রাশিয়া ঘেঁষা হয় তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার যে স্বপ্ন তারা দেখছে সেটি বাধাগ্রস্ত হবে।