গাজার আল আহলি আরব হাসপাতালে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ৫০০ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গাজায় হামাস সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এটি যুদ্ধাপরাধ। হাসপাতালটি শত শত আহত ও অসুস্থ মানুষের আশ্রয়স্থল ছিল।
হাসপাতালটি ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতাল নামেও পরিচিত ছিল। এটি একই সঙ্গে যুদ্ধে ঘরবাড়ি হারানো মানুষের আশ্রয়স্থল এবং রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হতো।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এ ঘটনার পর পশ্চিম তীরের শহরগুলোতে শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন।
এদিকে হামলার নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটির মহাপরিচালক এক্স নেটওয়ার্কে এক পোস্টে এই নিন্দা জানান।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাহায্য সংস্থা মেডগ্লোবালের জাহের সাহলুল এ হামলাকে কোনো চিকিৎসা স্থাপনায় ২১ শতকের সবচেয়ে বাজে আক্রমণ বলে অভিহিত করেছেন। একে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধ বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
হামলার নিন্দা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। নিন্দা জানিয়েছে মিসর এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
এদিকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলছে, ওই হাসপাতালে হামলার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তাদের হাতে নেই।
রয়টার্স লিখেছে, এর আগে একটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত হওয়ার খবর দেয় জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। গত কয়েক দিনে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা ওই স্কুল ভবনকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছিলেন।
হাসপাতালে বিমান হামলায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের অধিকাংশ গাজার বাস্তুচ্যুত বাসিন্দা। নিরাপত্তার আশায় তারা হাসপাতালের একটি হল এবং বাইরের মাঠে আশ্রয় নিয়েছিলেন।