আফগানিস্তানে নতুন দুই বিদেশি বেসরকারি সংস্থাসহ মোট ৬ টি এনজিওর কার্যক্রম স্থগিত করে দিয়েছে তালেবান সরকার। এনজিওতে নারী কর্মী নিষিদ্ধ করার পর সংস্থাগুলো তা না মানায় তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয় দেশটি।
সবশেষ সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) ক্রিশ্চিয়ান এইড ও অ্যাকশনএইড আফগানিস্তানে কার্যক্রম স্থগিত করে। আগের দিন রোববার কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল, দ্য নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল (এনআরসি) ও সেভ দ্য চিলড্রেন একই সিদ্ধান্তের কথা জানায়। এ ছাড়া ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটিও আফগানিস্তানে কার্যক্রম স্থগিতের কথা জানিয়েছে।
গত ২৪ ডিসেম্বর আফগানিস্তানের তালেবান সরকার দেশটিতে দেশি-বিদেশি সব এনজিওতে নারীদের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।
সম্প্রতি আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের পড়াশোনা নিষিদ্ধ ঘোষণার এক সপ্তাহ না পেরোতেই দেশটির এনজিওতে নারীদের কাজ বন্ধের নির্দেশ জারি করে তালেবান। তাদের এই দুই উদ্যোগের কারণে আন্তর্জাতিক মহলের নিন্দা আর সমালোচনার মুখে পড়েছে তারা।
ক্রিশ্চিয়ান এইডের বৈশ্বিক কার্যক্রমের প্রধান রয় হাসান এক বিবৃতিতে বলেন, “তালেবানের আদেশটির বিষয়ে আমরা দ্রুত ব্যাখ্যা চেয়েছিলাম। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য আমরা তালেবান কর্তৃপক্ষকে অনুরোধও করেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুর্ভাগ্যবশত আমাদের সংস্থার কার্যক্রম স্থগিত করতে হচ্ছে।
অ্যাকশনএইড জানিয়েছে, যদি সংস্থাটিতে নারীদের কাজ নিষিদ্ধ করা হয়, তবে তারা আফগানিস্তানের ক্ষুৎপীড়িত অর্ধেক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাতে ব্যর্থ হবে।
এক বিবৃতিতে অ্যাকশনএইড জানায়, কঠিন হলেও, সংস্থাটি আফগানিস্তানে তাদের বেশিরভাগ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলজুড়ে কয়েক ডজন বেসরকারি সংস্থা কাজ করে। সংস্থাগুলোর কর্মীদের অধিকাংশই নারী। এখন নারী কর্মীদের ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে সংস্থাগুলোর কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে।