টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পর্যটকদের সমুদ্রের তলদেশে নিয়ে যাওয়ার কাজে ব্যবহৃত একটি সাবমেরিন আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ হয়েছে। সাবমেরিনটির সন্ধানে রাতদিন চেষ্টা চালাচ্ছে ফ্রান্স, কানাডাসহ যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ধারকারী দল। তবে এটির খোঁজ পাওয়া না গেলেও অভিযানে অংশ নেওয়া একটি বিমান সমুদ্রের ‘পানির নিচের শব্দ’ শনাক্ত করেছে।
বুধবার (২১ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া একটি বিমান সমুদ্রের ‘পানির নিচের শব্দ’ শনাক্ত করেছে। মঙ্গলবার এমন আওয়াজ পাওয়া গেছে, মনে হচ্ছে সাবমেরিনের ভেতর থেকে সেটিকে কেউ আঘাত করছে। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এ শব্দ শোনা গেছে। এই শব্দ নিখোঁজ হওয়া পাঁচ পর্যটককে ফিরে পাওয়ার আশা জাগিয়ে রেখেছে।
গতকাল মঙ্গলবার কানাডিয়ান পি-৩ বিমান এ শব্দ শনাক্ত করে। এরপর সেখানে উদ্ধারকারীরা ব্যাপক অভিযান শুরু করেন। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড জানিয়েছে, ওই সময় ‘ইতিবাচক’ কোনো কিছু পাওয়া যায়নি।
বুধবার সকালে এক টুইটে মার্কিন কোস্টগার্ড বলেছে, “কানাডার পি-৩ বিমান সমুদের নিচের শব্দ শনাক্ত করে। এর ফলশ্রুতিতে সেখানে মনোযোগ দেওয়া হয় এবং শব্দের উৎপত্তি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হয়। তবে ওই খোঁজাখুঁজিতে এখন পর্যন্ত ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যায়নি। তবে সেখানে এখনো অভিযান অব্যাহত আছে।”
এর আগে গত রোববার সমুদ্রের অতল গভীরে পড়ে থাকা টাইটানিক জাহাজের কাছে যেতে সাবমেরিনটি আটলান্টিকের নিচে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই সাবমেরিনের সঙ্গে সমুদ্রের উপরে থাকা অন্য জাহাজের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপরই এটিকে খুঁজে বের করতে শুরু হয় উদ্ধার অভিযান।
সাবমেরিনটির খোঁজে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডার নৌবাহিনী এবং গভীর সাগরে কাজ করে এমন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো। কীভাবে এই উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে তা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র কোস্ট গার্ডের রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মাউগের।
তিনি বলেন, একটি সাবমেরিন এবং সনার যন্ত্র নিয়ে সাবমেরিনটি খোঁজা হচ্ছে। পানির নিচে ও ওপরে দুইভাবে খোঁজা হচ্ছে। সাবমেরিনটি হয়তো কোথাও ভেসে উঠতে পারে, কিন্তু তাদের যোগাযোগ যন্ত্র নষ্ট হয়ে গেছে। সেজন্য বিমান দিয়ে সাগরের ওপরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে সনার যন্ত্র ব্যবহার করে পানির নিচেও তল্লাশি করা হচ্ছে।