ইউটিউবে ভিউ পেতে ইচ্ছাকৃত বিমান ক্রাশের অভিযোগ ওঠে ট্রেভর জ্যাকব নামের এক পাইলটের বিরুদ্ধে। মাঝ আকাশে বিমানের ইঞ্জিন বন্ধ করে ঝাঁপ দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি ফেডারেলের তদন্ত রুখতে দুর্ঘটনার স্থানও পরিষ্কার করেছিলেন তিনি।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে ক্যালিফোর্নিয়ার ২৯ বছর বয়সী ট্রেভর জ্যাকব ইউটিউবে প্লেন দুর্ঘটনার ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। যা দেখে মনে হচ্ছিল এটি একটি দুর্ঘটনা। সেই ভিডিওটি এখন পর্যন্ত ২ দশমিক ৯ মিলিয়নের বেশি ভিউ হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। পরে তারা প্রমাণ পান যে এটি ইচ্ছাকৃত ঘটানো একটি কাজ। আর এ কারণে তার লাইসেন্সও বাতিল করা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ট্রেভর তার অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন। আর তাই এই কাজের জন্য তার ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে ট্রেভর দাবি করেছেন, একটি পণ্য স্পন্সরশিপ চুক্তির অংশ হিসেবে ভিডিওটি চিত্রায়িত করেছেন তিনি।
ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিমান স্বাভাবিক গতিতেই আকাশে উড়ছে। কিন্তু, হঠাই সেটির প্রপেলার কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
ট্রেভর তখন দাবি করেন, তার বিমান মাঝ আকাশেই যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য স্তব্ধ হয়ে যায়। এরপর প্রাণ বাঁচাতেই বিমানের দরজা খুলে নিচে ঝাঁপ মারেন তিনি। এবং হলিউড সিনেমার নায়কের মতোই বেঁচে যান।
আর এখানেই সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। কারণ, ট্রেভর আগে থেকে প্যারাসুট পরেছিলেন। অর্থাৎ তিনি আগে থেকেই এমন কাণ্ড ঘটানোর জন্য প্রস্তুত ছিলেন। তার বিমানের নানা অংশে স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা লাগানো ছিল। যাতে বিমানের নিচে এসে পড়ার দৃশ্য রেকর্ড করা যায়।
এমনকি ট্রেভরের নিজের শরীরেও আগে থেকেই ক্যামেরা লাগানো ছিল। তাতে তার পতনও সুন্দরভাবে রেকর্ড হয়েছিল। তদন্তকারীরা বুঝে যান, আসলে সমস্ত রকমের বন্দোবস্ত পাকা করেই সেদিন ক্যালিফোর্নিয়ার আকাশ উড়েছিলেন ট্রেভর।
এদিকে মার্কিন বিচার বিভাগ বৃহস্পতিবার (১১ মে) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২৯ বছর বয়সী পাইলট ও স্কাইডাইভার ফেডারেল তদন্তে বাধা দেওয়া, বিমানটির ধ্বংসাবশেষ লুকিয়ে রাখাসহ তিনি তার অপরাধ স্বীকার করেছেন। ফলে এসব অপরাধের দায়ে ট্রেভরের ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।