সুদানি সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) এবং র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) ১০ জুন খার্তুমের সময় সকাল ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য দেশব্যাপী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। মধ্যস্থতাকারী সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির সময় বিবদমানরা আন্দোলন, হামলা, বিমান বা ড্রোন ব্যবহার, বিমান হামলা, আর্টিলারি স্ট্রাইক থেকে বিরত থাকবে। যুদ্ধবিরতির সময় তারা সামরিক সুবিধাও নিতে পারবেন না। তারা সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন চলাচল এবং মানবিক সহায়তা প্রদানের সহায়তা করতে রাজি হয়েছে।
সর্বশেষ এ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মারাত্মক এ সহিংসতার বন্ধে কাজে দেবে। কেননা উভয় পক্ষের সহিংসতায় একটি বিশাল মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তারা এটিকে একটি ভালো পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। যা পরবর্তী সময়ে সৌদির জেদ্দায় আলোচনার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এ আলোচনা গত মাসের শেষের দিকে স্থগিত করা হয়েছিল। বিবৃতিটি আসলে যুদ্ধরত পক্ষগুলোর প্রতি একটি সতর্কতা। পক্ষগুলো যদি ২৪ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি পালন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সহায়তাকারীরা জেদ্দা আলোচনা স্থগিত করার বিষয়ে বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।
দেশটির সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করছে। যদি তারা (আরএসএফ) প্রস্তাবে একমত হয়ে থাকে তাহলে যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিক।
এর আগেও আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় সুদানে কয়েক দফা যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও তা ভেস্তে যায়। এ জন্য অবশ্য একে-অপরকে দায়ী করেছে তারা। এবার তাই আগেভাগেই সতর্কতা জারি করেছে হোয়াইট হাউস। তারা বলেছে, যারাই সুদানে সহিংসতায় জড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
রাজধানী খার্তুমের বাসিন্দারা আল-জাজিরাকে বলেছেন, শুধু শনিবারের জন্য সম্মত হওয়া যুদ্ধবিরতি পূর্ববর্তী যুদ্ধবিরতির মতো হবে না এমনটা নাভাবার কোনো কারণ নেই। তাদের বিশ্বাস করারও কোনো কারণ নেই।
তবে সংশ্লিষ্টরা এক দিনের এই যুদ্ধ বিরতির ফলে সুদানের বিভিন্ন এলাকায় যারা আটকে পড়েছেন, তাদের কাছে প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেছেন।
