• ঢাকা
  • রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩০, ২৪ শা'বান ১৪৪৬

বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান ২৯ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে, ট্রাম্পের ‘রহস্যময়’ তথ্য


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৫, ০৮:০৩ পিএম
বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান ২৯ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে, ট্রাম্পের ‘রহস্যময়’ তথ্য
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ফটো

বাংলাদেশের ‘রাজনৈতিক দৃশ্যপট শক্তিশালী’ করতে মার্কিন আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা ইউএসএআইডির ২৯ মিলিয়ন ডলার তহবিল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, “২৯ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিকাঠামো শক্তিশালী করতে দেওয়া হয়েছে। এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে, যার নাম কেউই শোনেনি। ২৯ মিলিয়ন ডলার! তারা চেক পেয়েছে। কল্পনা করতে পারেন?”

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন অঙ্গরাজ্যগুলোর গভর্নরদের এক অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “একটা ছোট প্রতিষ্ঠান আছে, এখান থেকে ১০ হাজার ডলার, ওখান থেকে ১০ হাজার ডলার করে পায়, আর তারপর হঠাৎ যুক্তরাষ্ট্রের সরকার থেকে ২৯ মিলিয়ন ডলার পেয়ে যায়! ওই প্রতিষ্ঠানে মাত্র দুইজন লোক কাজ করে। আমি মনে করি, তারা খুব খুশি, খুব ধনী হয়ে গেছে। শিগগিরই তারা একটা নামকরা বিজনেস ম্যাগাজিনের কভারে চলে আসবে।”

ভারতের বিষয় তুলে ধরে ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, “ভোটার উপস্থিতির জন্য আমার বন্ধু নরেন্দ্র মোদি ও ভারতের কাছে ২১ মিলিয়ন ডলার যাচ্ছে। আমরা ভারতে ভোটার উপস্থিতির জন্য ২১ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছি। আমাদের কী হবে? আমিও চাই ভোটার উপস্থিতি।”

এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্টের ব্যয় সংকোচন দল ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) ১১টি দেশের নাম এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে বাতিল হওয়া কয়েকটি বিদেশি প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট নাম তালিকাভুক্ত করে এক্স-এ পোস্ট করে।

এই তালিকায় বাংলাদেশে ‘রাজনৈতিক দৃশ্যপট শক্তিশালী’ করার জন্য ২ কোটি ৯০ লাখ ডলারের একটি প্রকল্প এবং ভারতে ‘ভোটদানের উপস্থিতির’ জন্য আরেকটি প্রকল্প রয়েছে।

পোস্টে ডিওজিই উল্লেখ করে, মার্কিন করদাতাদের ডলার নিম্নলিখিত আইটেমগুলোতে ব্যয় করা হবে, যার সবই বাতিল করা হয়েছে।

ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইটে বলা হয়, ইউএসএআইডি ও ডিএফআইডির অর্থায়নে স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ (এসপিএল) কর্মসূচির আওতায় রাজনৈতিক দলগুলোর সক্ষমতা তৈরি এবং রাজনৈতিক সহিংসতা কমানোর পাশাপাশি দল ও সংগঠকদের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে কাজ করে। এই প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত।

Link copied!