ফিলিস্তিনের গাজাভিত্তিক স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। চলমান এই হামলা-পাল্টা হামলায় দুই দেশ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের মৃত্যু হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন জাতিসংঘের ৯ কর্মী। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় তারা মারা গেছেন।
বুধবার (১১ অক্টোবর) জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর তথ্যানুসারে আল-জাজিরা, এপিসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউএনআরডব্লিউএর যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক জুলিয়েট তোমা বলেছেন, “সংঘাতের সময়ে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা সবার আগে। যুদ্ধের আইন অনুসারে তাদের সুরক্ষা দেওয়া উচিত ছিল।”
জাতিসংঘ বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছে, গত শনিবার গাজায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ শুরু হওয়ার পর থেকে বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের ৯ কর্মী নিহত হয়েছেন। বিশেষ করে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) গভীর রাতে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান ও কামান হামলা জোরদার করার পর বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘের রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টিনিয়ান রিফিউজিস (ইউএনআরডব্লিউএ) নামে পরিচিত সংস্থার কমিউনিকেশন ডিরেক্টর জুলিয়েট তোমা বলেন, “সংঘাতের সময় বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা সর্বাগ্রে। তাদের যুদ্ধ আইন অনুসারে সুরক্ষিত করা উচিত। হামলায় জাতিসংঘের কর্মীরা তাদের বাড়িতে নিহত হয়েছে “
তোমা আরও বলেন, “গাজাতে ১৮টি ইউএনআরডব্লিউএ স্কুল-আশ্রয় কেন্দ্রগুলো ইসরায়েলের বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজা সিটিতে অবস্থিত সংস্থাটির সদর দপ্তরও বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।”
এদিকে, উত্তর গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সদর দপ্তরে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক এই উদ্ধারকারী সংস্থাটি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।