ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সেভাস্তোপোলে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর নৌবহরের সদরদপ্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রুশ ৯ সেনা নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও ১৬ জন। তাদের মধ্যে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর দুই জেনারেলও রয়েছেন বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সেভাস্তোপোলে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর নৌবহরের সদরদপ্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করেছে ইউক্রেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা হামলার একাধিক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ভবনটির ছাদ থেকে সাদা ধোঁয়া আকাশে উড়ছে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
ইউক্রেনের শীর্ষ গোয়েন্দা অধিদপ্তরের প্রধান কিরিলো বুদানোভ বলেছেন, “আহতদের মধ্যে কৃষ্ণসাগর নৌবহর গ্রুপের কমান্ডার কর্নেল জেনারেল (আলেকজান্ডার) রোমানচুকের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। এছাড়া চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল (ওলেগ) সেকভ সংজ্ঞাহীন রয়েছেন।”
হামলার পরপরই রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছিল, হামলায় তাদের নৌবহরের সামরিক এক কর্মী নিখোঁজ হয়েছেন। তবে বুদানোভ রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর নৌবহরের কমান্ডার অ্যাডমিরাল ভিক্টর সোকোলভের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেননি। তিনি বলেছেন, সদরদপ্তরের কর্মচারী নন এমন সাধারণ সামরিক কর্মীদের হতাহত সংখ্যা এখনো নির্ধারণ করা যায়নি। সামরিক কর্মীরা সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন, নিরাপত্তা দিচ্ছেন এবং আরও অনেক কিছু করছেন। তবে হতাহতের ব্যাপারে যে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে, তাতে তারা অন্তর্ভুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
২০১৪ সালে সামরিক অভিযান চালিয়ে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের দখল নেয় রাশিয়া। গত বছর ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর এই অঞ্চলটি ইউক্রেনীয় আক্রমণের শিকার হতে শুরু করে। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের হামলা ও হামলার চেষ্টা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে।