একটি গাড়ি মেরামতের ওয়ার্কশপে ঢুকে আট পাকিস্তানি কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ইরানের সিস্তান-বেলুচিস্তানে। রোববার (১৩ এপ্রিল) পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়। ইরানের সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশের মেহারিস্তান জেলার একটি গ্রামে গাড়ি মেরামতের ওয়ার্কশপে শনিবার রাতে আচমকা ঢুকে পড়ে অস্ত্রধারীরা। তারপর নির্বিচার গুলি চালানো হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, বেলুচিস্তান ন্যাশনাল আর্মি (বিএনএ) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। মেহারিস্তান জেলা পাকিস্তান সীমান্তে অবস্থিত। এ ঘটনায় দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
তেহরানে অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাস ও জাহিদানের কনস্যুলেট ইরানের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একত্রে এ ঘটনার তদন্ত করছে বলে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়।
সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ বলছে, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তান। ঘটনার তদন্তে ইরানের সহযোগিতা চেয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জানা যায়, ঘটনায় নিহতেরা সবাই পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা। এ ঘটনা নিয়ে পাকিস্তান সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘পাকিস্তান এই অমানবিক এবং কাপুরুষিত কাজের তীব্র নিন্দা করছে। আমরা আশা করছি ঘটনার তদন্ত নিয়ে ইরানের তরফ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা পাব। মরদেহ যথাসময়ে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।’
এ বছর ইরানের সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশে দ্বিতীয়বার এ ধরনের ঘটনা ঘটল। ওই প্রদেশের সারাভান শহরে জানুয়ারি মাসে একইভাবে ৯ পাকিস্তানিকে মেরেছিল বেলুচ স্বাধীনতাকামী গ্রুপের সদস্যরা।
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান এবং ইরানের সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশে একাধিক মিলিট্যান্ট গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি এবং বেলুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। প্রায়শই তারা এ রকম হামলা চালায়। সাম্প্রতিক অতীতে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে পাকিস্তানি সেনা ও পুলিশের ওপর হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে তারা। এ বছরে ট্রেন জিম্মি করেও হামলা চালানো হয়।