এক নারী তার পরকীয়ার প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুন করেন। এরপর সাজান দুর্ঘটনার কাহিনী। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। তার নিজের ছয় বছর বয়সী সন্তানের সাক্ষ্যে ধরা পড়ে যান তিনি। আদালত তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি তার প্রেমিক, বাবা এবং ভাইকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বুলন্দশহরে এ ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটির তথ্যমতে, অভিযুক্ত ওই নারী নাম রাধা দেবী। তিনি এবং তার প্রেমিক কানহাইয়া কুমার মিলে ২০২২ সালে চক্রান্ত করে খুন করেন রাধার স্বামী যোগেন্দ্র কুমারকে।
পুলিশ জানিয়েছে, যোগেন্দ্র বাড়ির সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পেয়েছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং পরিবারের সদস্যদের কাছে দাবি করেছিলেন রাধা। কিন্তু আচমকা এই মৃত্যুতে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। তারা হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ করেন।
মরদেহের ময়নাতদন্তের মাধ্যমে জানা যায়, যোগেন্দ্রের মাথায় গুলির ক্ষত রয়েছে। এরপরই রাধাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতে এতদিন ধরে সেই মামলাটি চলছিল। খুনের পরিকল্পনায় রাধার বাবা যোগেন্দ্র সিং এবং ভাই অনুজ কুমারের হাত ছিল বলে জানতে পেরেছিলেন তদন্তকারীরা। এরপর তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়।
সম্প্রতি আদালতে রাধার ৬ বছরের সন্তান তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়। তারপরই রাধা এবং বাকিদের দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, রাধা এবং কানহাইয়ার মধ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তা জানতে পেরেছিলেন রাধার স্বামী। এরপরই তাকে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন যুগল। খুনের চক্রান্ত করেন। কীভাবে খুনের পরেও মৃত্যুটিকে দুর্ঘটনা বলে মনে হবে, তা মাথা খাটিয়ে বের করেছিলেন রাধাই, দাবি তদন্তকারীদের।