মধ্য সিরিয়ায় ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৯ জন।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) এ হামলার ঘটনা ঘটে।
সিরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, এ হামলার পর হামার পশ্চিমে মাসয়াফ শহরের কাছে আগুন লেগে যায়। পরে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা সানাকে বলেছেন যে ইসরায়েল লেবাননের আকাশসীমা থেকে সিরিয়ার বেশ কয়েকটি সামরিক কিস্তির বিরুদ্ধে ‘বায়বীয় আগ্রাসন’ শুরু করে। সূত্রটি আরও জানিয়েছে, সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলি জেট বিমানগুলো লেবানন থেকে সিরিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করেছে। সম্ভবত তারা সিরিয়ার আকাশসীমা এড়াতে চেয়েছে। কারণ যেখানে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বাহিনী কাজ করে। মাসয়াফের পাবলিক হাসপাতালের পরিচালক বলেছেন, হতাহতরা বেসামরিক নাগরিক।
মূলত গত ১৩ বছরে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েল নিয়মিতভাবে দেশটিতে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। এসব হামলায় অধিকাংশ সময়ই ইরান-সংযুক্ত সাইটগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়। তবে এদিন সিরিয়ায় নিজেদের অভিযানের বিষয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নিশ্চিত বা কোনো মন্তব্য করেনি।
রোববারের আক্রমণটি এমন এক সময়ে হলো, যখন জুলাই মাসে তেহরানে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ায় হুমকি দিচ্ছেন ইরানি কর্মকর্তারা।