মানব পাচার ও পণবন্দী করার অভিযোগে নেপালে পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের সহায়তা করার দায়ে দুই নেপালিকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার (১৪ আগস্ট) নেপালি সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিমালয়ান টাইমস’ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশি নাগরিকদের জিম্মি করার অভিযোগে নেপালে একদল বাংলাদেশি মানব পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা নেপাল হয়ে তৃতীয় কোনো দেশে মানব পাচারের র্যাকেট পরিচালনা করত।
হিমালয়ান টাইমস বলছে, ইউরোপে পাঠানোর প্রলোভনে নেপালে পাচার করা আট বাংলাদেশিকে জিম্মি করার অভিযোগে পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক ও দুই নেপালি সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে কাঠমান্ডু ভ্যালি ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন অফিস।
গ্রেপ্তার বাংলাদেশিরা হলেন আমির হোসেন (৪৭), মো. মশিউর রহমান (৩৭), সেলিম মিয়া (৩৮), জাহাঙ্গীর আলম (২১) ও তাহমিনা বেগম (২১)।
এ ছাড়া গ্রেপ্তার দুই নেপালি নাগরিক হলেন তারা নেপালি (২৭) ও রোহানি রায় (৩৩)। তারা দুজন নেপালের সিন্ধুপালচক ও ইলামের বাসিন্দা। নেপালে মানব পাচার চক্রকে সহায়তা করার দায়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হিমালয়ান টাইমস বলছে, ইউরোপের কোনো একটি দেশে পাঠানোর নামে ওই আট বাংলাদেশি নাগরিককে বাংলাদেশ থেকে প্রথমে নেপালে পাঠানো হয়। এরপর নেপালে তাদের পণবন্দী করে অভিযুক্তরা। পরে আবু বকর সিদ্দিক নামের একজন ওই পাচারকারীদের খপ্পর থেকে পালাতে সক্ষম হন।
এরপর তিনি ভৃকুটিমন্ডপের ট্রাফিক পুলিশ অফিসে পৌঁছান এবং অভিযোগ করেন। পরে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বাংলাদেশিদের পণবন্দী করে রাখার খবর পেয়ে কালিমাটিদোলের একটি গেস্টহাউস থেকে চার জিম্মিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। ভুক্তভোগী এই বাংলাদেশিদের আমির হোসেন নামের এক পাচারকারীর ভাড়া করা কক্ষে রাখা হয়েছিল।
আমিরের গ্রেপ্তারের পর অন্য অপরাধীদের পরিচালিত হরিসিদ্ধিভিত্তিক একটি ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্ট থেকে আরও দুজনকে উদ্ধার করা হয় এবং কেটিসি বিউটি পার্লার অ্যান্ড স্পা নামে পরিচালিত নকশালভিত্তিক ম্যাসাজ সেন্টার থেকে আরও দুই বাংলাদেশি নারীকে উদ্ধার করা হয়।
হিমালয়ান টাইমস বলছে, জিম্মি এসব বাংলাদেশির পরিবারের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা করে মুক্তিপণ আদায় করেছে পাচারকারীরা। ব্যাংকের মাধ্যমে এসব টাকা বাংলাদেশ থেকে নেপালে পাঠানো হয়।